ইত্তেহাদ স্পেশাল

ডাকসু নির্বাচনে যেভাবে জয় পেল ছাত্রশিবির

1757607601.Ducsu 1
print news

বাংলানিউজ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কোনো ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির এমন ফলাফল করতে পারেনি।বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সময় এত শক্ত অবস্থানও তৈরি করতে পারেনি সংগঠনটি।

নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম একা যত ভোট পেয়েছেন, তারপর শীর্ষ চারজন মিলিয়ে তত ভোট পাননি। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএস এবং ১২টি সম্পাদক পদের নয়টিতেই জয়ী হয়েছেন। কেবল তিনটি সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের এমন অভাবনীয় জয়ের নেপথ্যে কী কাজ করেছে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

যদিও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ হয়েছে উল্লেখ করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। এছাড়া বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের, স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট সমর্থিত জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুসহ কিছু প্রার্থীও নির্বাচনে শিবিরের পক্ষে প্রশাসনের ভূমিকার অভিযোগ তুলেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, নির্বাচনে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হলেও বড় ধরনের কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির অভিযোগ তুলে নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের এমন জয়ে কয়েকটি ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতে ইসলামীর সংগঠন হলেও শিবির তাদের রক্ষণশীল জায়গা থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের উপস্থাপন করেছে উদারপন্থি ও শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে, যা তাদের ভোট পেতে সহায়তা করেছে।

‘ট্যাগিং’ কাজ করেছে ‘সিমপ্যাথি’র
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অবদমিত ছিল ছাত্রশিবির। ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে হলে নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রশিবিরের নেতাদের বিভিন্ন ট্যাগিং করে ‘ঊনমানুষ’ করে রাখা হয়েছিল।

অভ্যুত্থানের পরও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ সংগঠনগুলো আগের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। তাদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী’, ‘রাজাকার’, ‘পাকিস্তানি’সহ একাধিক ট্যাগিং করা হয়েছে, এই ট্যাগিংকে ‘বিভাজনচেষ্টা’ হিসেবে দেখেছেন অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীরা। তারা সেটিকে ভালোভাবে নেননি, উল্টো শিবিরের প্রতি তাদের ‘সিমপ্যাথি’ কাজ করেছে।

অন্যদিকে ছাত্রশিবির অভ্যুত্থানের পর নিজেদের রাজনীতিতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে মেডিকেল ফ্রি ক্যাম্প, প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় সহায়তা ডেস্ক, রমজানে শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে থাকা সবার জন্য ইফতারি বিতরণসহ একাধিক কর্মসূচি তারা করেছে।

নির্বাচনী প্রচারণাতেও তারা নিজেদের বিগত কার্যাবলি এবং আগামীতে কী কী কাজ করবে, তার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেছে।

ছাত্রশিবিরের প্রচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচারণার সময় তারা আগামী তিন মাসে নারীদের জন্য কী কী পরিকল্পনা হাতে নেবে, তা তুলে ধরেছে। তবে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায়নি।

ছাত্রদল এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) মনোনীত প্রার্থীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নিজেদের অংশগ্রহণ, নিপীড়ন ও হামলার ঘটনা তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে তাদের ভূমিকা তুলে ধরেছেন।

এই দুই সংগঠনের প্রার্থীরা আগামী দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় গেস্টরুমে-গণরুম ফিরতে দেবেন না বলে অভয় দিয়েছেন। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারা অভ্যুত্থানে নিজেদের কৃতিত্ব, অভ্যুত্থান পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলনে নিজেদের নেতৃত্বের কথা জানিয়েছে।

তবে এই দুই সংগঠন আগামীতে কী করতে চায়, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী, তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি। সেক্ষেত্রে ছাত্রশিবির ইশতেহারে তা উল্লেখযোগ্যভাবে তুলে ধরেছে।

অন্যদিকে সব সংগঠনের ‘অতি শিবিরবিরোধী অবস্থান’ শিক্ষার্থীদের শিবিরের প্রতি ‘সিম্প্যাথাইজ’ করেছে বলেও মনে করছেন অনেকে। ফলে এটিও ভোটে প্রভাব ফেলেছে।

অনলাইনে শক্তিশালী অবস্থান
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ছাত্রশিবির গত কয়েক বছর ধরে অনলাইনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। অভ্যুত্থানের পর এক বছর ধরে রাজনৈতিক অবস্থান নির্মাণে এটি ছাত্রশিবিরকে সহায়তা করেছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় সময় অনলাইনে অর্ধশতাধিক ফেসবুক পেজ ছাত্রশিবিরের জন্য কাজ করেছে। এই পেজগুলো থেকে অন্য সংগঠনকে আক্রমণ, ছাত্রশিবিরের নেতাদের প্রশংসা এবং তাদের প্রচারণায় কাজ করেছে।

ছাত্রদলের পক্ষেও এমন কিছু ফেসবুক পেজ কাজ করেছে। তবে পেজগুলো শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। দুদলের পক্ষে প্রচারণা চালানো এসব পেজ কারা পরিচালনা করছেন, তা জানা যায়নি।

বিভিন্ন ছাত্রনেতাদের পোস্টে বট অ্যাটাক করে সেটিকে দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে। এজন্য ছাত্রশিবিরবিরোধী পোস্টগুলো ফেসবুকে ‘গুরুত্বহীন’ হয়ে পড়েছে।

কোচিং বড় প্রভাব রেখেছে
কারও কারও মতে, এবারের নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের পক্ষে বড় নিয়ামক হিসেবে হিসেবে কাজ করেছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ভোটারদের ক্ষেত্রে এটি প্রভাবক ছিল।

এ বছর ছাত্রশিবির পরিচালিত ‘ফোকাস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং সেন্টার’ থেকে কোচিং করে এক হাজার ৭৫০ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া ‘রেটিনা কোচিং’ থেকেও কিছু শিক্ষার্থী সুযোগ পেয়েছেন। এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের সঙ্গে ছাত্রশিবির নিবিড় সম্পর্ক রেখেছে।

নির্বাচনের আগে ৩০ আগস্ট ফোকাস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং থেকে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। তাদের অনেকেই সেখানে ভোট চান এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা এবারের নির্বাচনে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছে টানতে নিয়মিত বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এটি ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা করেছেন। এসব ভোজ ভোটে বড় প্রভাব ফেলেছে বলে অনেকে মনে করছেন।

ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও ‘অরাজনৈতিক চরিত্র’
ছাত্রশিবিরের হল পর্যায়ের নেতারা প্রথম বর্ষ থেকে হলে থাকেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর তারা ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ হিসেবে হলে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলীয় রাজনীতির প্রতি এক ধরনের বিরূপ মনোভাব দেখা গেছে। ফলে বিভিন্ন হলে ছাত্রশিবির নেতাদের ‘অরাজনৈতিক’ চরিত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের জনপ্রিয়তা তৈরিতে সহায়তা করেছে।

নির্বাচনের আগে দুই ঈদকেন্দ্রিক ক্যাম্পাসে ভোজের আয়োজন, রমজানে ইফতার বিতরণ, মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষামূলক নানা প্রতিযোগিতা, পানি পানের ফিল্টার উপহারসহ বছরজুড়ে বিভিন্ন কাজের কারণে ছাত্রশিবিরের ব্যাপক প্রচার হয়েছে। অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা আলোচনা অনুষ্ঠান বা সভা-সমাবেশের বাইরে এমন কিছু করেননি।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক এরিয়ায় কোনো ধরনের রাজনীতি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। ছাত্রদল অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর পর ৮ আগস্ট হলগুলোতে কমিটি ঘোষণা করে, তা নিয়ে আবার ক্যাম্পাসে আন্দোলনও হয়।

অন্যদিকে ছাত্রশিবির আগে থেকেই গোপনে কাজ করেছে। ফলে কৌশল নির্ধারণ এবং পরিকল্পনায় ছাত্রশিবির শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল। অন্যান্য দল স্বল্প সময়ে মাঠ গুছিয়ে নিতে পারেনি।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাদের কথা বলার ধরন, ভোট চাওয়ার প্রক্রিয়া এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ অন্যদের নজর কেড়েছে। ভোটাররা জানিয়েছেন, অন্য প্রার্থীদের তুলনায় শিবিরের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি পৌঁছাতে পেরেছেন।

অন্যদের বিভক্তি-পরিকল্পনার অভাব সুযোগ বাড়িয়েছে ছাত্রশিবিরের
এবারের নির্বাচনে অন্যদের মধ্যে ‘বিভক্তি’ ও ‘বিদ্বেষ’ ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ থেকে কেবল এজিএস পদে পাঁচ প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের ভালো ভাবমূর্তি তৈরি হয়নি।

অন্যদিকে ছাত্রদলের যারা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মধ্যে জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম ছাড়া দলীয় অবস্থানের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ অন্যরা পাননি। ফলে তারা অনেক বিষয়ে ছাত্রশিবির থেকে পিছিয়ে ছিলেন।ছাত্রদলের একাধিক নেতাও মনে করছেন, যাদের ডাকসুতে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদের ডাকসুর জন্য দীর্ঘসময় ধরে প্রস্তুত করা হয়নি।

হলগুলোতে ছাত্রদল শেষদিকে তাদের প্যানেল গুছিয়েছে। যেখানে ভোটের বিভিন্ন ফ্যাক্টর যেমন অঞ্চল, বর্ষ, বিভাগ এবং ভোটের হারের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়নি। ফলে তারা পিছিয়ে গেছেন।

‘সেক্যুলার’ মনোভাব প্রকাশ
ছাত্রশিবির তাদের পূর্ণ ক্যাম্পেইনে নিজেদের রক্ষণশীল মনোভাব থেকে বেরিয়ে একটি উদারনীতি গ্রহণ করেছে। তাদের প্রার্থীদের মধ্যে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি (সর্ব মিত্র চাকমা) যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন সাধারণ বেশভূষার নারীও (ফাতিমা তাসনিম জুমা)। তাদের বক্তব্যে নারীদের নিরাপত্তা এবং আবাসনের কথা বলা হয়েছে। অনলাইনে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধেও তারা শক্ত অবস্থান রাখবে বলে জানিয়েছে।

ছাত্রশিবিরের এই প্রচারণা তাদের সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ভালো মনোভাব তৈরি করেছে। তারা নারীদের সমান সুযোগ এবং কড়াকড়ির বদলে পোশাকের স্বাধীনতার কথা বলেছে।একইসঙ্গে তারা পুরনো বয়ানে আবদ্ধ থাকেনি। মুক্তিযুদ্ধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে তারা বিতর্ক এড়িয়ে গেছে।

প্রচারণার কৌশলেও এগিয়ে ছাত্রশিবির
এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় কৌশলে এগিয়ে ছিল ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে অনলাইনে এবং অফলাইনে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।

এছাড়ায় অফলাইন প্রচারণায় তারা ভোটারদের সম্পর্কে গ্রাউন্ড স্টাডি করেছে। কোন অঞ্চলে কেমন ভোট, কোন ভোটগুলো কীভাবে কাছে টানা যায়, এই গ্রাউন্ড ওয়ার্ক ছাত্রশিবির করেছে।

প্রচারণার ক্ষেত্রে নারী হলগুলোতে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এসব হলে তাদের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। নারীদের হলে প্রজেকশন মিটিংগুলোতে তারা বেশ সাড়া পেয়েছে।

‘শিবিরের সৃশৃঙ্খল বক্তব্য ও আচরণ ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে’
ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের মতে, ‘ডানপন্থী বা ধর্মভিত্তিক বক্তব্য না টেনে ছাত্রশিবির মধ্যপন্থী জায়গা থেকে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা করেছে, সেটি তাদের জয়ের পক্ষে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। ’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ মনে করছেন, ছাত্রশিবির সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব সুশৃঙ্খলভাবে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। সেইসঙ্গে তাদের আচরণের দ্বারা সাধারণ ভোটারদের অন্তরকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। ফলে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলটা বিস্ময়কর হলেও অসম্ভব ছিল না।

ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের একটি পরিষ্কার মতাদর্শ উপস্থাপন করতে পেরেছে বলেও মত তার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্বচ্ছ না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেতে পারে না।

অন্যদের মধ্যে ছাত্রদলের প্রার্থীদের কিছু ঘাটতি ছিল বলে মত মাহবুব উল্লাহর। তিনি বলেন, ছাত্রদল কীভাবে করেছে? ছাত্রসংগঠন হওয়ার জন্য যেসব গুণাবলী অর্জন করা দরকার সেখানে ছাত্রদলের বেশ কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে। সেটি সাংগঠনিক বা আদর্শগত দুর্বলতা যেকোনো কারণেই হোক।

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.