বরিশালে ভুয়া ডিজিএফআই পরিচয়ে আটক সেই পোটকা শাওন জামিনে মুক্ত,প্রতারিতরা হতবাক


মামৃনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল :
বরিশাল কারাগারে ভুয়া ডিজিএফআই সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করতে গিয়ে আটক হওয়া সেই মেহেদী হাসান শাওন ওরফে পোটকা শাওন জামিনে মুক্ত হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের বিশ্বস্ত একটি সুত্র।
দুর্ধর্ষ এক ভয়ংকর প্রতারক মেহেদী হাসান শাওন ওরফে পোটকা শাওন কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতারিতরা।
বরিশাল বিভাগীয় শহরে গোয়েন্দাদের সকল বিভাগ,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রশাসন,সাংবাদিক ও হাজার হাজার মানুষের সামনে ভুয়া পরিচয়ে বীরদর্পে চলাফেরা করতো এই পোটকা শাওন।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা,আসামী আটক ,ব্লাকমেইলিং,প্রতারনা করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ।
সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপকর্ম করলেও বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে প্রতারনা করতে গিয়ে আটক হয়েছিল প্রতারক শাওন।
কে এই প্রতারক পোটকা শাওন:
মেহেদী হাসান শাওন। শাওন ওরফে পোটকা শাওন নামে পরিচিত।পিতার নাম মোঃ ফিরোজ আলম।মাতার নাম শিউলী বেগম।১৯৯৮ সালের ২ মে জন্ম গ্রহন করেন।
শাওনের পিতার বাড়ি ভাটিখানা।মায়ের বাড়ি ডেফুলিয়া,সোনামিয়ার পোল এলাকার কুদঘাটা সংলগ্ন হাওলাদার সড়কে ।২০০০ সালে শাওনের মাতা শিউলী বেগমকে প্রতারনা ও পরকিয়ার অভিযোগে তালাক প্রদান করেন।এর পরেই শাওন মাতা শিউলী বেগমের সাথে হাওলাদার সড়কে নানা বাড়িতে বেড়ে উঠেন।মানুষের বাসায় কাজ ও কাপড় বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করতেন শিউলী বেগম।
শাওনের পিতা ফিরোজ আলম বরিশাল নগরীর হেমায়েত উদ্দিন সড়কে ঘড়ি মেরামত করেন। শাওনের মাতা শিউলী বেগম শত শত মানুষের থেকে নগদ অর্থ,স্বর্নালংকার প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে বরিশাল থেকে পালিয়ে গেছেন।তিনি মেঘলা আকাশ নামে একটি ফেসবুক আইডির মাধ্যমে সরব রয়েছেন।পুত্র শাওনের বিরুদ্ধে কেউ কমেন্ট করলে তাকে কল করে হুমকী দিচ্ছেন।শাওনের প্রতারনায় সহযোগী ছিলেন ফিরোজ আলম ও শিউলী বেগমও।
প্রতারিত মানুষের মন্তব্য :
২৩ আগষ্ট’২৫ তারিখ বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতারনার দায়ে আটকের খবর গনমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রতারিত মানুষগুলো বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।এদের মধ্যে একজন আয়েশা সিদ্দিকা কচি।তিনি লেখেছেন তার মায়ের প্রতারনার শিকার আমরা হয়েছি ।তিনি ইত্তেহাদ নিউজকে বলেন,শাওনের গোটা পরিবারই একটা প্রতারক পরিচালক।দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।আরেকজন ভুক্তভোগী মুহাম্মদ ইমরান আলী বলেন আমার পাচঁ লাখ টাকা নস্ট করেছে।আমি আমার টাকা চাই।আল আমুন খান লিখেছেন ওর বাবাও জড়িত।মহিউদ্দিন হাফিজ লিখেছেন,৫ তারিখের পর উদয় হয়েছে।
পাপড়ি নামে একজন মন্তব্য করেছেন,ও একটা বাটপার।মোঃ ইমরান আলী মন্তব্য করেছেন, শাওন বিউটি নামে এক মহিলা দিয়ে আমার ভাইয়ের নামে ধর্ষন মামলা দিয়ে পাচঁ লাখ টাকা নিয়েছে।মাইনৃল মন্তব্য করেছেন,শাওন সেনাবাহিনীর তদন্ত অফিসার।সাগর খান মন্তব্য করেছেন,সে আওয়ামীলীগের দালালা।বাটপার।মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন,গত ৫ -আগষ্টের আগ থেকেই বরিশালের বিভিন্ন তদবীর বানিজ্য করে আসছে।এমাদুল মল্লিক নামে একজন মন্তব্য করেছেন,অনেক সময় শাওন পরিচয় দেয় বিজিবি অফিসার ।আয়েশা সিদ্দিকা মন্তব্য করেন,ওর মা ওর চেয়েওরবড় বাটপার।ওর মা আমার অনেক টাকা আত্মসাৎ করে নিয়ে গেছে।মা ও ছেরে দুজনে মিরে প্রতারনা করতো।
প্রতারনা মামলায় জেলে ছিল দীর্ঘদিন :
বরিশাল কারাগারের বন্দি ডাটাবেজ যাচাই করে কারাকর্তৃপক্ষ মামলায় উল্লেখ করেন,মেহেদী হাসান শাওন সিআর ২৬৪/২৩ (বিমানবন্দর) মামলায় ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ কারাগারে আগমন করেন।পরে জামিনে মুক্ত হন।
প্রতারনা মামলায় সাজা ও জরিমানা :
বরিশাল জেলা দায়রা জজ আদালতের প্রথম আদালতের যুগ্ন দায়রা জজ মোহাম্মদ ইউনুস সিআর মামলা নং- ১২০৩/২৩(সদর) ও
সেসন মামলা নং -১৬৪৬/২০২৪ নম্বর মামলার রায় প্রদান করেন।যার আদেশ নং-৯,তারিখ: ২৯/৪/২০২৫।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, আসামী মোঃ মেহেদী হাসান শাওন, পিতা মোঃ ফিরোজ আলম।মাতা :শিউলী বেগম। সং-হাওলাদার সড়ক,ডেফুলিয়া,ডাকঘর :রুইয়া,থানা:বিমানবন্দর,জেলা বরিশাল,বর্ডার গার্ড পরিচিতি নং -IWT ৭০৮ কে The Negotiable Instruments Act;1881 এর ১৩৮ ধারায় বর্নিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করিয়া ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নালিশীতে বর্নিত পাচঁ লাখ টাকা জরিমানা করা হইলো।দন্ডিতকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উক্ত টাকা অভিযোগকারীর অনুকুলে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া গেল।ব্যর্থতায় অভিযোগকারী ফৌজধারী কার্যবিধির ৩৮৬ ধারা অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারিবেন।
The Negotiable Instruments Act;1881 এর ১৩৮(২) ধারার বিধানমতে, আদায়কৃত জরিমানা অভিযোগকারীকে প্রদান করার সিদ্ধান্ত হইল।
দন্ডিত আদালতে আত্মসমর্পন কিংবা গ্রেপ্তারের তারিখ হইতে, যেটা আগে হয়, কারাদন্ডের মেয়াদ গননা শুরু হউবে।সেই মর্মে তাহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু করা হোক।
আদালতেও প্রতারক শাওন ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়েছেন বলে জানান মামলার বাদী।ভুয়া পরিচয়ে আটকের পর জানা গেল সে একজন প্রতারক ও ভুয়া বিজিবির সদস্য।
মেহেদী হাসান শাওনের বিরুদ্ধে রসুলপুরের আল আমিন খান মামলাটি মেহেদী হাসান শাওনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাড. এইচ এম আনিচুর রহমান ও আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাড.মোঃ কামরুজ্জামান (জামাল)।
শাওনের বিরুদ্ধে সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ :
৫ আগষ্ট’২৪ সালে পট পরিবর্তনের পরে বরিশাল নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করতেন সাহেবের হাট এলাকার এক সাংবাদিককে নিয়ে। ২৪ সালের ৫ অক্টোবর বন্দর থানাধীন মৌলভীহাট হিজলতলায় মাহমুদুর রহিম জাকিরকে সেনাবাহিনীর সিও মেহেদী হাসান পরিচয় দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের দুটি মোবাইল,ভিপি মেশিন,ব্যবস্থা পত্র জব্দ করে জাকিরকে ভুয়া বলে সম্মোদন করে এবং লাঞ্চিত করে।মামলার ভয় দেখানো হয় জাকিরকে।এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে জাকিরের নিকট শাওন ও ঐ সাংবাদিক।জাকির চাঁদা দিতে অস্বিকার করলে সাহেবেরহাটস্থ বন্দর থানার পুলিশের নিকট জাকিরকে সোপর্দ করে ভুয়া সেনাসদস্য শাওন,ও ঐ সাংবাদিক।পরে ভুয়া মামলা প্রমানিত হলে ৬ অক্টোবর জিআর কোর্ট জাকিরকে মুক্ত করে দেয়।৭ অক্টোবর আবারো শাওন জাকির করে কল করে বরিশাল সেনা ক্যাম্পে দেখা করতে বলে।
এসব বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মেহেদী হাসান শাওন ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশাল সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
মা ও পুত্রের বিরুদ্ধে ব্লাংক চেক দিয়ে টাকা ও স্বর্ন হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ:
যোগ্য মায়ের যোগ্য সন্তান বলে কথা।মাতা শিউলী বেগম বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট করে চেকের পাতা নিয়ে সেই চেক ব্লাংক বন্ধক রেখে নগদ টাকা এবং স্বর্ন হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালে বরিশাল থেকে পালিয়ে গেছে।বরিশালে প্রতারনা করার পরে এখন ঢাকায় প্রতারনা করছে। একই সাথে পা বাড়িয়েছে অন্ধকার একজগতে।
মায়ের মত মেহেদী হাসান শাওন ব্লাংক চেক দিয়ে মানুষের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এসব কারনে একাধিক মামলা হয়েছে।মামলায় দন্ডিত ও জরিমানা হলেও থানায় ওয়ারেন্ট থাকলেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। ভুয়া পরিচয়ে সব স্থান থেকে রেহাই পেলেও কারাগারে গিয়ে আটক হলেন এই ভয়ংকর প্রতারক ভুয়া পরিচয়দানকারী মেহেদী হাসান শাওন ওরফে পোটকা শাওন।
একাধিক সুত্র জানায় একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রতারক শাওন ছিলেন আয়ের পুত। তাই কেউ শাওনকে আটক করেনি ওয়ারেন্টভুক্ত দন্ডিত আসামী হওয়া সত্ত্বেও।
প্রতারনা ও ভুয়া পরিচয়,
যেভাবে আটক হলেন প্রতারক শাওন :
ক্যান্টনমেন্ট থেকে মেহেদী বলছি।একজন বন্দির সাথে দেখা করতে চাই।এভাবেই বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এর সরকারি নম্বরে কথাগুলো বলছিলেন ঘড়ির মেকার ফিরোজ আলমের পুত্র মেহেদী হাসান শাওন।
২২ আগষ্ট কল করার পরে সিনিয়র জেল সুপার ২৩ আগষ্ট কারাগারে আসতে বলেন।কারাগারের গেটে এসে আবারো কল করলে শাওনের কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হলে তিনি এক ডেপুটি জেলারের মাধ্যমে পরিচয় যানতে চান।এবং আইডি কার্ড দোতে বলেন।আইডি কার্ড না দেখিয়ে শাওন নিজেকে বরিশালের ডিজিএফআই এর ফিল্ড অফিসার মেহেদী হাসান নামে পরিচয় প্রদান করেন।আইডি কার্ড না দেখানো এবং তার গতিবিধি ও কথাবার্তার অসংলগ্নতা পরিলক্ষিত হলে ডেপুটি জেলার এর সন্দেহ হয়।সাথে সাথে ডেপুটি জেলার জেল সুপারকে অবহিত করে।
জেল সুপার ডেপুটি জেলারকে ডিজিএফআই এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।ডিজিএফআই থেকে জানানো হয় বরিশালে বা ঢাকায় মেহেদী হাসান নামে কোন ফিল্ড অফিসার নাই।সেনা ক্যাম্প থেকেও জানানো হয় সে ভুয়া পরিচয়ে অসত্য বলছেন।
সিটিএসবির সদস্য মোঃ টিপু কারাগারে এনে মিথ্যা পরিচয় দেয়া ব্যক্তির ভুয়া পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হন।বিজিবি জানায় সে বিজিবির কেউ নয়।
শাওনকে আইফোন, ওয়াকিটকি,মোটর সাইকেল সহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বরিশাল কারাকর্তৃপক্ষ শাওনের স্পর্শকাতর বিষয়ে ভুয়া গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন কার্য্যক্রম পরিচালনা করেছে যা গুরুতর অপরাধ।তার এ ধরনের কর্মকান্ডে জাতীয়েনিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করে শাওনের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য ধারা সমুহে একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত অনুরোধ জনান বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মাহাবুব কবির।
বরিশাল কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, তিনি ২২ আগস্ট বিকেলে বন্দি থাকা শিক্ষার্থী হুসাইন আল সোহানের সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে তাকে ২৩ আগষ্ট শনিবার সকালে আসতে বলা হয়। সকালে কারাগারে এসে তিনি নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সদস্য পরিচয় দেন। সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় মেহেদীর কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি। একপর্যায়ে নিশ্চিত হওয়া যায় ওই ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করছেন। আটক যুবককে কোতয়ালী মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,কারাগার থেকে একজন পাঠিয়েছে তার নাম মেহেদী হাসান শাওন।সে কারাগারে গিয়ে ডিজিএফআই পরিচয় দিয়েছে।ডিজিএফআই সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে মেহেদী হাসান শাওন তাদের কেউনা। শাওন একটা প্রতারক। তার পরিচয়ের স্বপক্ষে কোন পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি।
উল্লেখ্য,২৩ আগস্ট সকালে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময়ে তার কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইলসহ বেশ কিছু কাগজপত্র হেফাজতে নেওয়া হয়। আটক মেহেদী হাসান সদর উপজেলার ডেফুলিয়া গ্রামে ফিরোজ আলমের ছেলে।
আটক মেহেদী হাসান ২০২৪ সালে প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে কখনো ডিজিএফআই, কখনো বিজিবি আবার কখনো কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে বেড়াতেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগও আছে। তবে স্বাস্থ্যখাত আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ কর্মী হুসাইন আল সোহানের সাথে দেখা করতে গিয়ে কারাগারে ফাঁস হয়ে যায় প্রতারণার বিষয়টি।