ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনি মাঠে স্বশরীরে প্রচারণায় দেখতে চায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। দলের একাধিক সূত্র এমনটিই জানিয়েছেন। যদিও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নির্বাচনি মাঠে নামা না নামা নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক সুস্থতার উপর। তবে দীর্ঘ ১০ বছরে পর বেগম খালেদা জিয়া সত্যিই রাজনীতির মাঠে নামলে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতারাও।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, খালেদা জিয়া মাঠে নামলে দেশের পুরো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। অনেক ষড়যন্ত্রের যবনিকা ঘটবে। কারণ শুধু বিএনপি নয়, দেশের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তাছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যমূলক প্রহসনের মামলায় কারাভোগ করা আপোষহীন এই নেত্রীর প্রতি সহমর্মিতাও রয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান শীর্ষনিউজ ডটকমকে বলেন, গণতন্ত্রের মা, বেগম খালেদা জিয়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় অংশগ্রহণ করুন এটা দেশের সবস্তরের নেতা-কর্মীদের চাওয়া। কারণ, জনপ্রিয়তার দিক থেকে উনার সমকক্ষ দ্বিতীয় কেউ নেই। তবে দলের চেয়ারপারসনের পুনরায় রাজনীতির মাঠে ফিরে আসা নির্ভর করছে সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক সুস্থতার উপর। শারীরিকভাবে সক্ষম থাকলে তিনি অবশ্যই মাঠে নামবেন।
সেলিমা রহমান আরও জানান, বেগম খালেদা জিয়া শুধু দেশের রাজনীতিতে নয়, পুরো বিশ্বের কাছেই এক কিংবদন্তীর নাম। তিনি জীবনে কখনও অন্যায়ের কাছে আপষ করেননি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পূর্ণ সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে কারাভোগ করতে হয়েছে। অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পৌঁছে গিয়েছিলেন তবুও হাসিনা সরকার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি তাঁকে। এরপরও তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে মাথানত করেননি। বেগম খালেদা জিয়ার এই ত্যাগ জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। সে পথ ধরেই বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।
দলের একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, বেগম খালেদা জিয়া নিজেই রাজনীতির মাঠে ফিরতে চান। এমনকি শারীরিক সক্ষমতা সায় না দিলে তিনি বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। নেতারা আরও জানান, সেই ২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেওয়ার পর এবারই প্রথম পূর্ণমাত্রায় প্রচারণায় দেখা যেতে পারে খালেদা জিয়াকে।
এদিকে আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, আপনি এমন একজন মানুষের কথা বলেছেন, যেই মানুষটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, যতবার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, প্রতিবার উনি অবদান রেখেছেন। সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বা পুনরুদ্ধার করার জন্য।
এবারও আপনাদের সবার চোখের সামনেই ঘটেছে যে কীভাবে স্বৈরাচারের সময় তার ওপরে অত্যাচারের খড়্গহস্ত নেমে আসে। কিন্তু উনি আপস করেননি। এরকম একজন ব্যক্তি আজ অসুস্থ। কেন কীভাবে উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হলো।
আমরা দেখেছিলাম একজন সুস্থ মানুষ গেছেন। কিন্তু যখন বেরিয়ে এসেছেন একজন অসুস্থ মানুষ বেরিয়ে এসেছেন। তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসবই ঘটনা দেশবাসী জানেন। তারপরেও যে মানুষটির এত বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার।
আমি সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি বা বিশ্বাস করতে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেই প্রত্যাশিত, জনপ্রত্যাশিত যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক সক্ষমতা যদি অ্যালাও করে উনাকে, নিশ্চয়ই উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন।
সেটা কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ হতে পারে? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, এটি আমি এখনো বলতে পারছি না। আমি মাত্রই বললাম যে উনার শারীরিক বা ফিজিক্যাল অ্যাবিলিটির ওপরে বিষয়টি কিছুটা হলেও নির্ভর করছে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত