সিলেটে পাসের হার কম মানবিক বিভাগে


ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সিলেটে বিপর্যয় ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, সিলেট বোর্ডে কৃতকার্য হয়েছেন ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। পাসের হারের দিক থেকে এটা বিগত ১২ বছরের মধ্যে এবার সর্বনিম্ন।
শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান, চলতি বছর সিলেটে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯ হাজার ৯৪৪ জন। যেখানে ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। যার মধ্যে ছেলে ২৭ হাজার ৭৬৪ জন আর মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৮ জন। মোট কৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৭০ জন।
কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে, ছেলে ১৩ হাজার ৮৭০ এবং মেয়ে ২২ হাজার ১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন যার মধ্যে ছেলে ৬৮১ এবং মেয়ে ৯২১ জন।
পাসের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা। ছেলে পরীর্ক্ষীদের মধ্যে পাস করেছে ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ আর মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
পাসের হার সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে। এই বিভাগে পাস করেছে ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী।বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
১ হাজার ৬০২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পেয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ জন, মানবিক বিভাগে ১৫৩ জন আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭০ জন শিক্ষার্থী। আর গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে কম মৌলভীবাজারে আর বেশি সিলেট জেলায়। সিলেট জেলায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৬১ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৮৮, সুনামগঞ্জে ৪৭ দশমিক ৩৫ এবং মৌলভীবাজারে ৪৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
গত বছর সিলেটে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, আর ২০২০ সালে শতভাগ, ২০১৯ সালে ৬৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৭২ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৭৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সিলেটে শিক্ষাবোর্ডের চেযারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ইংরেজিতে এবার ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। পরিসংখ্যানেও ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ, পদার্থ বিজ্ঞানে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, একাউন্টিংয়ে ৩১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, উচ্চতর গণিতে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিষয়ে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ইতিহাস বিষেয়ে ১৮ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই কারণে সিলেটে পাসের হার কমেছে। তবে সার্বিক ফলাফল ভাল হয়েছে। কারণ এবার সারাদেশেই গড় পাশের হার কম। ফলাফলে আমরা সন্তষ্ট।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া ও দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষক না থাকায়ও সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।