লালদিয়া ও পানগাঁও বন্দরের দায়িত্বে বিদেশি প্রতিষ্ঠান, চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

বিবিসি বাংলা: চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্প এবং ঢাকার কাছে পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে।দীর্ঘ মেয়াদী এই চুক্তি করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাড়াহুড়ো করলো কিনা এমন প্রশ্নও সামনে আসছে।সম্প্রতি দুইটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে সরকার।
চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস এবং পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালে কাজ করবে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মেডলগ।চুক্তি অনুসারে, লালদিয়া টার্মিনালে ত্রিশ বছর এবং পানগাঁওয়ে বাইশ বছর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের।তবে দীর্ঘমেয়াদী এবং স্পর্শকাতর এই সিদ্ধান্ত নিতে স্বল্প মেয়াদে দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার কেন তাড়াহুড়ো করলো, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বন্দর ব্যবহারকারী এবং বিশেষজ্ঞদের অনেকে।চুক্তিগুলো যদি দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই করা হয় তাহলে সেগুলো প্রকাশ করারও দাবি জানান তারা।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার কদিন পর দায়িত্বে থাকবে না, তখন এই চুক্তি নিয়ে যদি কোনও সমস্যা তৈরি হয় তাহলে এর জবাবদিহি করবে কে, ওই সময় তো এনারা কেউ থাকবেন না।”অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের পক্ষেও অবশ্য মত দিয়েছেন অনেকে।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন নির্বাচিত সরকারের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সময় কঠিন হয়।”
দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও ধীরগতির অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বন্দর বিষয়ে বিদেশি কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।
২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।বিদেশিদের হাতে বন্দরের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে পড়েছিল সরকার।
বিগত আওয়ামী লীগ আমলে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দুবাইভিত্তিক একটি বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো, সেটিই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আবার গতি পায়।
দেশের অন্তত পাঁচটি টার্মিনালে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার আলোচনা সামনে এলে এ নিয়ে প্রতিবাদও জানায় বেশ কয়েকটি সংগঠন।
এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার লালদিয়া এবং পানগাঁও টার্মিনালের দায়িত্ব পালনে দুই বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করলো সরকার। এর পর থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনও।
খুব কম সময়ের মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্তে এর স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চট্টগ্রাম কাষ্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন।সংগঠনটির সভাপতি এস এম সাইফুল আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, “যারা খুব কম সময়ের জন্য এসেছে তারা এতো লং টাইমের জন্য চুক্তি করলো, এটা আমাদের কাছে একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে।”তবে বন্দরের দুর্নীতি ও অনিয়মে যারা জড়িত তাদের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা আসছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
তিনি বলছেন, “দেশ ধ্বংস”, “দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে” ইত্যাদি বলে নিজেদের ভিউ ব্যবসা বাড়ানোর চেস্টা করছেন অনেকে। এছাড়া আরেকদল বন্দর থেকে চাঁদা তুলতেন, দুর্নীতি করতেন, তাদের মন খারাপ,” বলেও মনে করেন তিনি।
চুক্তির বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে
চট্টগ্রামের লালদিয়া এবং ঢাকার অদূরে পানগাঁও বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট বা গোপনীয়তা বজায় রাখার বিষয়টি যুক্ত থাকায় এ নিয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।এসব চুক্তি নিয়ে নানা সমালোচনার মধ্যেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রামের লালদিয়া চরে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালস একটি নতুন টার্মিনাল নির্মাণ করবে। নির্মাণের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ওই প্রতিষ্ঠানটি। সময় শেষে দায়িত্ব বুঝে পাবে বাংলাদেশ।
তিনি বলছেন, ডেনমার্কের এপি মোলার-মেয়ার্স্ক গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি বন্দরের ১০টি অপারেট করছে।প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, ও চীনসহ ৩৩টি দেশে ৬০টির বেশি টার্মিনাল পরিচালনা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বন্দর ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্প বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি আওতায় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ছয় হাজার ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণের পর ৩০ বছর টার্মিনালটির দায়িত্বে থাকবে এপিএম। তবে এর রেগুলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চুক্তির শর্ত প্রসঙ্গে মি. চৌধুরী বলছেন, “যতগুলো কনটেইনার তারা হ্যান্ডেল করবে, প্রত্যেকটার জন্য আমাদের একটি নির্দিষ্ট ফি দিবে। যত বেশি ভলিউম করবে আমাদের আয় তত বেশি হবে। এর পাশাপাশি দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে অনেক ধরনের শর্ত আছে এই চুক্তিতে।”
এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ দলিল প্রকাশ না করার বিষয়ে তিনি বলছেন, সরকারি ক্রয়নীতি ও পিপিপি গাইডলাইন অনুযায়ী চুক্তির পূর্ণ তথ্য প্রকাশ নিরাপদ নয় বলেই সব বিষয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। এছাড়া স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং বেসরকারি অংশীদারের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টিও সামনে আনছেন তিনি।
মি. চৌধুরীর দাবি, “শুধু বাংলাদেশ না, কোন দেশের সরকারই পিপিপি চুক্তির মূল দলিল জনসম্মুখে প্রকাশ করবে না আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে।”
এছাড়া পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মেডলগের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মেডলগ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যেও চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২২ বছর টার্মিনালটি পরিচালনা করবে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
তাড়াহুড়োর প্রশ্ন আসছে কেন?
লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্প এবং পানগাঁও বন্দর ব্যবস্থাপনা চুক্তি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত চৌঠা নভেম্বর এপিএম টার্মিনালস কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিলের পর দুই সপ্তাহ না যেতেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার। যেখানে এই ধরনের চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রস্তাব মূল্যায়ন, দরকষাকষি, সরকারের অনুমোদনসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন হয়।
পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ উঠেছে। দাবি করা হচ্ছে গত ছয়ই নভেম্বর পানগাঁও টার্মিনালের কারিগরি প্রস্তাব মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার দেড় সপ্তাহের মধ্যে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।এমন প্রেক্ষাপটে কেন তাড়াহুড়ো করে চুক্তিগুলো করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুলেছেন বন্দর ব্যবহারকারি ও বন্দর বিষয়ে অভিজ্ঞরা।
গণঅধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলছেন, জনস্বার্থের একটি চুক্তি নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট বা গোপনীয়তার শর্তে সরকার কেন রাজি হলো।
“চুক্তির প্রক্রিয়াটিই তো অগ্রহণযোগ্য। যেভাবে এই সরকার তাড়াহুড়ো করছে, জোরজবরদস্তি করছে, এর জন্য পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে, সরকার থেকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে, এগুলো থেকে বোঝা যায় তাদের উদ্দেশ্য জাতীয় স্বার্থ নয়,” বিবিসি বাংলাকে বলেন তিনি।
জিবুতি এবং শ্রীলঙ্কায় বিদেশি কোম্পানির বন্দর ব্যবস্থাপনার খারাপ অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “ওই দেশগুলোও এমন চুক্তি করে পরবর্তীতে নানা জটিলতায় পড়েছে, যার খেসারত দিতে হয়েছে দেশের নাগরিকদের।”ভবিষ্যতে এই চুক্তি নিয়ে যদি কোনো সমস্য তৈরি হয় তার দায় কে নেবে এমন প্রশ্নও তোলেন মি. মুহাম্মদ।
সরকার যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে
বন্দর নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানে হাতে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসার পর থেকেই এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা না বাড়িয়ে সরকার বিদেশিদের হাতে বন্দরের দায়িত্ব কেন তুলে দিচ্ছে?
সোমবার লালদিয়া এবং পানগাঁও বন্দর ব্যবস্থাপনায় দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এই আলোচনা আরও বাড়তি মাত্রা পেয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে বন্দর ইস্যুতে সরকারের দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকেও এই সিদ্ধান্তের পক্ষে নানা ব্যাখ্যা ও যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড এবং অর্জন নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিকে তিনি বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।মি. আলম বলছেন, “বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বন্দর অপারেটর লালদিয়া টার্মিনাল চুক্তি স্বাক্ষর করেছে- যা বাংলাদেশের শিল্প রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইউরোপিয় বিনিয়োগ।”সরকারের এই পদক্ষেপের বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
তার মতে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি এবং দীর্ঘ ওয়েটিং টাইম ঠিক করতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে বন্দরের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিক বন্দর ব্যবস্থাপনা আরও গতীশিল হবে বলেও মনে করেন তিনি।যদিও এই ব্যাখ্যা সঠিক নয় বলে মনে করেন গণঅধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলছেন, দেশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেটি ঠিক না করে বিদেশিদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।”সব সময় বলা হচ্ছে আমাদের কোনো সক্ষমতা নাই এজন্য আমরা বিদেশি কোম্পানির হাতে দিলাম। সমস্যাগুলো কি, কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে, কারা দুর্নীতি করছে সেটা চিহ্নিত করে কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হলো না কেন,” বলেন তিনি।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।



