ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : ঝালকাঠিতে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে প্রতি বছর বাড়ছে ইটভাটার সংখ্যা। এতে জেলার গ্রামীণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জেলার চারটি উপজেলায় মোট ৪৭টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৯টি। এর বাইরে চালু রয়েছে অন্তত ২৫টি অবৈধ ইটভাটা, যেগুলো চলছে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে।
ইট কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় এসব ভাটায় এখন কাঁচা ইট তৈরির কাজ জোরেশোরে চলছে। কিন্তু অবৈধ ভাটাগুলোর কারণে বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এসব ভাটায় নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যাপকভাবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। কৃষিজমির উপরিস্তর কেটে এনে ইট তৈরিতে ব্যবহার করায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। একই জমি বারবার কেটে নেয়ায় সেখানে পলি জমে জমির প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে কৃষির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এ ছাড়া গ্রামের এলজিইডি সড়কের পাশে অধিকাংশ ভাটা স্থাপিত হওয়ায় ইট পরিবহনের ট্রলির চাপ ও কাভারবিহীন পরিবহনের কারণে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে এসব রাস্তা। ভাটার চারপাশে পানি ছিটানো না হওয়ায় ধুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে, যা স্থানীয় জনস্বাস্থ্য ও জীব-বৈচিত্র্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় অবৈধ ২৫টি ইটভাটার মধ্যে রয়েছে উত্তর কৃষ্ণকাঠি এলাকার মেসার্স এ করিম ব্রিকস, একই এলাকার এনটিসি ব্রিকস, বাউকাঠির মেসার্স স্টার ব্রিকস, সদরের চৌপালা এলাকার মেসার্স মাহাদী ব্রিকস, নলছিটির রামচন্দ্রপুরের মেসার্স ঝালকাঠি ব্রিকস (গাজী), নলছিটির গৌরিপাশার মেসার্স রিয়াজ ব্রিকস-১, একই উপজেলার প্রতাপ এলাকার মেসার্স রিয়াজ ব্রিকস-২, সরই গ্রামের মেসার্স রিয়াজ ব্রিকস-৩, নলছিটির সারদল গ্রামের এমএমআর-১ ব্রিকস, নলছিটির জাগুয়ার হাটের মেসার্স এম এম ব্রিকস, নলছিটির সরমহল গ্রামের মেসার্স সরদার ব্রিকস, কাছারিপাড়া এলাকার মেসার্স মুন ব্রিকস, সরমহল গ্রামের মেসার্স থ্রি স্টার ব্রিকস, অনুরাগ এলাকার মেসার্স তিলক ব্রিকস, আমিরাবাদের এমবিএল ব্রিকস, কাঁঠালিয়ার পশ্চিম আউরা গ্রামের মেসার্স ত্বহা ব্রিকস, কাঁঠালিয়ার রগুয়ার দড়ি চর এলাকার মেসার্স জিজিবি ব্রিকস, একই এলাকার মেসার্স এএসবি-১ ব্রিকস, মেসার্স এএসবি-২ ব্রিকস, তালগাছিয়ার মেসার্স এসসি ব্রিকস, একই এলাকার মেসার্স এসবি ব্রিকস, রাজাপুরের কানুদাসকাঠি এলাকার সেভেন স্টার ব্রিকস ও একই উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের মেসার্স হাওলাদার রিয়াল স্ট্রেট ব্রিকস। এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলায় বৈধ ২২টি ইটভাটার মধ্যে বেশিরভাগই সদর উপজেলায়। অন্য দিকে বৈধ ১৯টি ভাটার বেশির ভাগই সদর এবং নলছিটি উপজেলায়। তবে বৈধ ভাটার মধ্যে তিনটিও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠি পরিবেশ অধিদফতরের উপপরিচালক আনজুমান্নেছা বলেন, ‘অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। কিন্তু তারা আবার নতুন করে কার্যক্রম শুরু করে। ভাটা মালিক ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর কঠোর মনোভাব না থাকলে এই আগ্রাসন রোধ করা কঠিন।’ জেলার পরিবেশ বাঁচাতে কঠোর নজরদারি ও বিধি প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।
ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী ,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইমেইল: [email protected], web:www.etihad.news
এম এম রহমান, প্রধান সম্পাদক, ইত্তেহাদ নিউজ, এয়ার পোর্ট রোড, আবুধাবী, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত