খাজা টাওয়ারে আগুন ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণ


ঢাকা প্রতিনিধি : রাজধানীতে হঠাৎ করেই মোবাইল নেটওয়ার্কে বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। যার কারণে মোবাইলে কল রিসিভ করাসহ ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছেন না অনেকেই।বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল থেকেই এ বিভ্রাট শুরু হয়।বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বলা যায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আইএসপি সরাসরি অ্যাফেক্টেড। খাজা টাওয়ারে বড় দুটো ডেটা সেন্টার রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে ১০-১২টি আইআইজি যুক্ত রয়েছে; যাদের থেকে কয়েকশ আইএসপি সেবা নিয়ে থাকে। যে কারণে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুনে দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে গ্রাহকদের সতর্ক করতে শুরু করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানিগুলো। এমন বার্তা পাঠানোর কিছু সময়ের মধ্যেই কোথাও কোথাও ইন্টারনেট ধীর হয়ে পড়েছে; কোথাও কোথাও বন্ধ হওয়ার খবরও এসেছে।গ্রামীণফোন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানায়, মহাখালীর আমতলিতে অগ্নিকাণ্ডের কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে কিছু গ্রাহকের গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কলজনিত সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। আমাদের টিম দ্রুততার সাথে সমস্যাটি সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে মহাখালীর আমতলিতে অবস্থিত ওই টাওয়ারে। সেখানে ট্রান্সমিশনে দুটি ডাটা সেন্টার ছিল। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার এসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, খাজা টাওয়ারের ট্রান্সমিশনে দুটি ডাটা সেন্টার রয়েছে।টাওয়ারে আগুনের কারণে অন্তত ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আরও অনেক সেবাদাতার সেবা বন্ধের মুখে। তিনি আরও জানান, কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খাজা টাওয়ার থেকে সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।