পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষ, স্কুল ছাত্রীসহ আহত-৬


পেকুয়া প্রতিনিধি:কক্সবাজারের পেকুয়ায় জমির বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের স্কুল ছাত্রীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। ঘটনার জের ধরে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর ) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্র ফজলুল হক (৭০), মুসলেহ উদ্দিনের পুত্র মো: ওসমান (৩৮), শামশুল আলমের পুত্র শওকত (২২), মেয়ে রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সায়মা (১৫), মৃত হাফেজ আহমদ মাতবরের পুত্র ইউনুছ গণি (৩৮), মৃত ফেরদৌস আলমের পুত্র মোশারফ (৩০)।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ১ একর ৩৭ শতক জমি নিয়ে মাতবরপাড়ার মৃত হাফেজ আহমদ মাতবরের পুত্র সাবেক মেম্বার ওসমান গণি গং ও একই এলাকার মুসলেহ উদ্দিনের পুত্র ওসমান গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে চকরিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন। রেকর্ড নিস্পত্তির জন্য মামলা হয়েছে। রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতেও মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে মুসলেহ উদ্দিনের পুত্র ওসমান গং তাদের ভোগ দখলীয় জমিতে লবণ মাঠ প্রস্তুতির কাজ করছিলেন। এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য ওসমান গণি গং জমির বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মাঠে না নামতে নিষেধ করছিলেন। এর সুত্র ধরে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের স্কুল ছাত্রীসহ ৬ জন আহত হয়েছে।মুসলেহ উদ্দিনের স্ত্রী গোলাপ জান জানান, এ জমি আমরা তিন বোন পৈত্রিক সুত্রে মালিক হয়েছি। আমরা ভোগ দখলে আছি। আমার ছেলেরা মাঠে কাজ করছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন এসে হামলা করে।রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, বিষয়টি নিয়ে পরিষদে বিচার আছে। আমি ২ জন ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে বিচার প্যানেল করেছি। শুনছিলাম সকালে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে।পেকুয়া থানার এএসআই শামছুদ্দিন জানান, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। শান্তি শৃংখলা বিঘিœত না করতে উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে। কাগজপত্র পর্যালোচনাসহ বিষয়টি বসে নিষ্পত্তির জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পেকুয়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম,গ্রেপ্তার-১
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুর্ব শত্রুতার জেরে জাকের হোসেন (৪০) নামের এক আ.লীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৪জনকে আসামি করে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। যার মামলা নং-০১/২৩। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি আবদুল জলিলকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে আহতের স্ত্রী নাহারু বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আহত জাকের হোসেন ওরফে মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও সদর ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ সভাপতি। গ্রেপ্তার আবদুল জলিল একই এলাকার শকির আলমের ছেলে। মামলার এজাহারসুত্রে জানাগেছে, জাকের হোসেন সদর ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ সভাপতি। বুধবার রাতে পেকুয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়নালের বাড়ির সামনে পৌঁছলে এসময় হামলাকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জাকের হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। স্থানীয়রা জানায়,গত মাসখানেক আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকুপ স্থাপন কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার মনির উদ্দিনসহ ৫জন ব্যক্তি। তাঁরা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে টিউবওয়েল স্থাপনের কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে রাখে মনির, ছরফরাজ,পুতু, তারেক,মানিক,মিরাজ। জাকের টিপুর পক্ষ হয়ে মনির গংদের সাথে বিরোধে জড়ান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আবদুল জলিলের পিতা শকির আলম বলেন,সমাজের সর্দার আমার বাড়িতে টিপুর কিছু যন্ত্রপাতি জিম্মায় রাখে। জাকের হোসেন মাস্তানি করে মালামালগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে দুজনকে কোপায়। এসময় মারপিটে জাকেরও আহত হয়েছে। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।