খুলনা বাংলাদেশ

পাখির জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি

Khulna University Photo 02 scaled
print news

ফকির শহিদুল ইসলাম,খুলনা ব্যুরো : প্রকৃতির জন্য পাখি, গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ০৮ নভেম্বর (বুধবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখিদের অবাধ বিচরণ, নিরাপদ আশ্রয় তৈরি ও তাদের বংশবৃদ্ধির জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানো হয়েছে। বিকালে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের সদস্যদের হাতে মাটির হাঁড়ি তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব সকলের। জীববৈচিত্র্য ভালো থাকলে আমাদের পরিবেশ ভালো থাকবে, আমরাও ভালো থাকবো। এই হাঁড়িগুলো বসানোর মাধ্যমে দেশীয় পাখিরা নিরাপদ আবাসস্থল পাবে। তাছাড়া শীতকালে অনেক অতিথি পাখি আসে। পাখিদের কিচিরমিচিরে সবার মন ভরে যায়।তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন ক্যাম্পাসে পরিণত করতে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এখানে এখন অনেক পাখি আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের প্রতি অনুরোধ পাখিরা যেন নিরাপদ থাকতে পারে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠুক আমরা সে প্রত্যাশা করি। তিনি দেশীয় পাখি সংরক্ষণ ও নিরাপদ আবাসস্থল তৈরিতে ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এই ক্লাবের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান। একই সাথে এই হাড়িগুলো সংরক্ষণে সকলকে মনিটরিং করার আহ্বান জানান।এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক প্রফেসর ড. ইফতেখার শামস্, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, এস্টেট শাখা প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার কৃষ্ণপদ দাশ, সংস্থাপন-৩ শাখা প্রধান উপ-রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ক্লাবের সভাপতি ওয়ালিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাকিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়, পাখি রক্ষা ও তাদের বংশবৃদ্ধির জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ক্লাবের উদ্যোগে গাছে গাছে শতাধিক হাঁড়ি বসানো হয়েছে। এতে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ থেকে পাখিরা বাঁচবে। হাঁড়িগুলোতে ছোট ছোট ছিদ্র করে দেওয়া হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি ঢুকলেও নিচের ছিদ্রগুলো দিয়ে পড়ে যাবে। তাছাড়া হাঁড়ির দুই দিকে বড় দুটি মুখ রাখা হয়েছে। এক দিক দিয়ে পাখি ঢুকলে আবার সোজা অন্য মুখ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। এতে হাঁড়ির মধ্যে ঢুকতে ও বের হতে পাখির কোনো সমস্যা হবে না ।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *