মধুকে চেয়ারম্যান পদে চায় বরিশাল উপজেলাবাসী
- BY ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :
- জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
- 0 Comments
- 281 Views


বরিশাল অফিস : উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন বরিশাল সদরের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু। বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম সমর্থিত এই আওয়ামী লীগ নেতা এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। আলোচ্চ্য মধুর সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানিয়ে তাঁকে সমর্থন করাসহ তাঁর নির্বাচনী বৈতরণী সহজ করতে সার্বিক সহযোগিতার অভয় দিয়েছেন উপজেলার নাগরিকেরা। ফলে ১২৫.২৬ বর্গমাইল আয়তনের এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরও অনেকে নেতা নির্বাচন করতে আগ্রহী হলেও আলোচনায় কেবল শুধু মধুকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষ রাজনৈতিক মহল বলছে, মাহাবুবুর রহমান মধু ভাইস চেয়ারম্যান হয়ে গত ৫ বছরে সদর উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকাসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে কাছাকাছি থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বৃষ্টি-বাদল কিংবা তীব্র শীতে দুসংবাদ আসলে ছুটে যেতেন যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে, করেছেন যথাস্বাধ্য সহযোগিতাও। এখনও রাত-দিন সমান্তরাল ছুটে বেড়াচ্ছেন শান্ত-স্নিগ্ধ কীর্তনখোলা নদীঘেরা ১২৫.২৬ বর্গমাইল আয়তনের জনপদে। ফলে জনতার কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাতিপ্রাপ্ত মধু নির্বাচন পূর্ব আলোচনার শীর্ষ আছেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ভোটারেরা জানান, দায়িত্ব পালনের গত ৫ বছরে মধু নির্বাচনী এলাকার এমন কোনো স্থানে পা রাখেননি, এমন উদাহরণ কম আছে। করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন দুর্যোগে তিনি জনসাধারণ পাশে ছিলেন এবং স্বাধীনতার স্বপেক্ষশক্তি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন, যারা এখন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। এই জনসমর্থন কাজে লাগিয়ে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুকের জয়লাভ নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, নেতা জাহিদ ফারুক আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে মধুকে সমর্থন দিয়েছেন। পিতৃতুল্য নেতার নির্দেশনায় ভাইস চেয়ারম্যান মধু এখন সদর উপজেলার মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল-সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাত দুর্বার ছুটছেন মানুষের দু:খ দুর্দশা ঘোচাতে। এমনকি চলমান তীব্র শীতেও এই জনপ্রতিনিধিকে দেখা যায় মাথায় চাদর মুড়িয়ে মোটরসাইকেলে চেপে ছুটছেন অসুস্থ কাউকে দেখতে কিংবা মৃত ব্যক্তির বাড়িতে, অংশ নিচ্ছেন জানাজাসহ ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সকল আয়োজনে।
ভোটাররা বলছেন, অতীত এবং বর্তমান মিলিয়ে যতজন জনপ্রতিনিধি পেয়েছে সদর উপজেলার তাদের মধ্যে মধু অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। কর্মক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তিনি উপজেলার গরীব দু:খী মানুষের পাশে ছিলেন, আছেন এবং যথাস্বাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি প্রার্থিতা ঘোষণা করায় উপজেলাবাসীও এই আদর্শিক জনপ্রতিনিধিকে প্রতিদান দিতে সম্মত আছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক উপেক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে জনপ্রিয় মধুর বিকল্প প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাওয়া কষ্টস্বাধ্য। তাছাড়া তার নেতা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এই উপজেলা নিয়ে গঠিত জনপদের এমপি হওয়ায় মধুকে প্রার্থিতার আলোচনা আরও জোরালো রুপ নিয়েছে। স্নেহভাজন মধু গত ৭ জানুয়ারির ভোটে নেতা জাহিদ ফারুকের পক্ষে গণজোয়ার এনেছিলেন। তাকে প্রতিমন্ত্রীর রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অভিহিত করছে বিশ্লেষক মহল।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, রাজনৈতিক গুরু জাহিদ ফারুকের সবুজ সংকেত পেয়েই মধু জোরালো পদক্ষেপ রাখছেন। এবং তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে অতীতের ধারাবাহিকতায় জনসাধারণে পাশে থাকছেন। বিষয়টি এমন ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মধু নিজেও যেনো উপজেলাবাসীর পাশে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
মি. মধু জানান, তার রাজনৈতিক অভিভাবক জাহিদ ফারুক শামীম উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষেই তিনি সামনে অগ্রসর হচ্ছেন, এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এখনও জনসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, গত ৫ বছরে বরিশাল উপজেলার প্রতিটি বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে জনসাধারণের খোঁজ-খবর নিয়েছি, নিচ্ছি। বিপরিতে জনগণও আমাকে আপন করে নিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চাইছে। সবকিছু মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিদ্বন্দ্বিতার।
পর্যবেক্ষকরা বলছে, সদর উপজেলাবাসীকে ৫ বছর জনসেবা দিয়ে নিজেকে যেভাবে মেলে ধরেছেন, তা অতীত সকল ইতিহাস ছাপিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তাকে মনোনীত না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থিতা করে ১৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪৯৭ মিটার গড় প্রস্থের কীর্তনখোলা পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন। তবে সেই যাত্রায় নেতা জাহিদ ফারুকের সমর্থন থাকা জরুরি, যা ইতিমধ্যে মধু পেয়েছেন।
মূলত নেতা জাহিদ ফারুকের সমর্থন পেয়েই দুর্বার ছুটে চলছেন মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাতিপ্রাপ্ত মাহাবুবুর রহমান মধু। চল্লিশোর্ধ্ব এই রাজনৈতিককে কর্মের বিপরিতে উপজেলাবাসী তাকে কতটুকু আপন করে নিয়েছে এবং ভালোবাসে তার হয়তো আসন্ন নির্বাচনে প্রতীয়মাণ হবে।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news