বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হলো বিশিষ্টজন ছাড়াই : ক্ষুব্দ নাগরিক সমাজ


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২২ ফেব্রুয়ারী।আজ সেই দিন। দিবসটি পালিত হয়েছে বরিশাল অঞ্চলের মন্ত্রী,মেয়র,এমপি,রাজনীতিবীদ,বুদ্ধিজীবী,বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সক্রিয় নেতাকর্মী ,বিশিষ্ট ও গুনীজন ছাড়াই।বিগত দিনের প্রথা ভেঙ্গে এই প্রথম ১৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও দ্বায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন বরিশালের গুনীজনরা। ২২ ফেব্রুয়ারী’২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় বরিশালের বিশিষ্টজন,গুনীজন ও রাজনীতিবীদদের কাউকে দেখা যায়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আন্দোলনের জন্য সামনের সারিতে যারা ছিলেন তাদের কেউ আমন্ত্রনও পাননি। এঘটনাকে দুঃখজনক বলেছেন আন্দোলনে জড়িত থাকা ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় : দ্বন্ধ-কোন্দলে বাড়ছে সমস্যা,নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মরহুম মেয়র শওকত হোসেন হিরনের পরে যিনি এ প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন তিনি হলেন বীর প্রতীক কে এস এ মহিউদ্দিন মানিক বলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইট সিলেকশনের জন্য আমি কর্নকাঠীতে হোক এটা প্রস্তাব করেছি। এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে। আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এদিনে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে অথচ আমাদের কাউকে আমন্ত্রন করা হয়নি। এটা তাদের ব্যর্থতা ও দ্বায়িত্বহীনতা।অযোগ্য প্রশাসন হলে যা হয়।তারা কিভাবে এটা পারে প্রশ্ন করে বলেন বরিশালের মন্ত্রী, মেয়র,এমপি,সুশীল সমাজ,বিশিষ্টজন,গুনীজন,রাজনীতিবীদদের বাদ দিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করতে পারেনা।
এ ব্যাপারে বরিশাল বারের সাবেক সম্পাদক, বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য যারা আন্দোলন করেছেন তার প্রথম সারীর একজন এ্যাড.লস্কর লুরুল হক বলেন, আমাদেরকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। তিনি বলেন হয়তো তাদের কোন প্রয়োজন নাই আমাদের তাই আমাদের কে আমন্ত্রন করেন নি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য যারা আন্দোলন করেছেন তার প্রথম সারীর একজন তৎকালীন ছাত্রনেতা বর্তমানে বরিশাল বারের সদস্য এ্যাড.শফিকুল ইসলাম বলেন,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য আমরা অনেক চড়াই উৎরাই পার করেছি। অধ্যক্ষ হানিফ স্যারের নেতৃত্বে প্রফেসর শাহ সাজেদা ম্যাডাম,এ্যাড লস্কর নুরুল হক,ভিপি আনোয়ার,কাজল ঘোষ,মোতালেবসহ উল্লেখযোগ্য অনেকেই মানববন্ধন,স্মারকলিপি,মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন করেছিল। আমরা কিছুরপাওয়ার জন্য আন্দোলন করি নাই। তবে বিস্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আমন্ত্রন করলে সবাই খুশি হতো।আমন্ত্রন করে নাই এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হীনমন্যতা ও অযোগ্যতার প্রমান।
খোজ নিয়ে জানা গেছে ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ বরিশালের কোন মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, রাজনীতিবীদ, সুশীল সমাজ,গুনীজন,বিশিষ্টজন এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কাউকে আমন্ত্রন জানায়নি।
সুত্র জানায়, মোটা অংকের টাকা হালাল করার জন্য নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সংশ্লিষ্টরা নামকা ওয়াস্তে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক ফয়সাল মাহমুদ রুমি বলেন, আমি সভায় আছি বলে কল কেটে দেন ।
* সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news