সংবাদ আন্তর্জাতিক

রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল ইরান

image 89663 1716239112
print news

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্কহেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল দেশটি। কিন্তু দেশটি নানা কারণে ইরানকে সহায়তা করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিষয়টি জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিগত ৪৫ বছর ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মূলত ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পরপরই দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তার পরও ইরান রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ইরান সরকার আমাদের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিল। আমরা জানিয়েছিলাম, আমরা সহায়তা করতে পারলে খুশিই হব…এমন পরিস্থিতিতে আমরা যেকোনো সরকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ কাজ করব।’

স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা, সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কারণে আমরা সেই সহায়তা দিতে পারিনি।’ কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার পরও তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই মার্কিন কর্মকর্তা।

ম্যাথিউ মিলার জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই তেহরান ওয়াশিংটনের সহায়তা চায়। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি ম্যাথিউ মিলার।

এদিকে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ইরানি জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছি।’

তবে এই সমবেদনা ইরানের শাসকগোষ্ঠী বা রাইসির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নয় বলেই উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তিনি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, যার হাতে প্রচুর (মানুষে) রক্ত লেগে ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাইসি নৃশংসতার জন্য দায়ী। যাই হোক, অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো আমরা অবশ্যই যেকোনো মৃত্যুতে অনুতপ্ত এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারি শোক প্রকাশ করেছি।’

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক জানালেও যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্তালিন, উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুং এবং কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কোনো বার্তা পাঠায়নি।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *