বিশেষ সংবাদ

ডেঙ্গু শনাক্তের কিট সংকট নেই বরিশালের ৪২ উপজেলায়

image 240
print news

বরিশাল বিভাগে ৬ জেলার বাকি ৪২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গুর শনাক্তের কিট রয়েছে, চলছে পরীক্ষা কার্যক্রম। আপাতত হাসপাতালগুলোতে যে পরিমান কিট রয়েছে তাতে আকস্মিক সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই। তবে দুই সপ্তাহের বেশী সময়ের পর আজ থেকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। শনিবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল। আজকের পরিবর্তনকে তিনি বলেন কিট সংকটের কারনে মুলাদীতে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধের খবরটি জানতে পেরে ব্যক্তিগত ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম কিট সরবরাহ করার। শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেই এই হাসপাতাল থেকে কিট প্রেরন করা হবে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রোববার সকালে তাদের একটি টিম এসে কিট নিয়ে যাবে। ফলে রোববার সকাল থেকেই ডেঙ্গু পরীক্ষা শুরু হবে। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান বলেন পরিচালক স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হলো। কারন তিনি উদ্যোগ না নিলে পরীক্ষা শুরু হতে বেশ কিছু দিন বিলম্ভ হতো। প্রসঙ্গত,গত ১৯ জুলাই থেকে এই হাসপাতালে বন্ধ হয় ডেঙ্গু পরীক্ষা। সুতরাং কিট সংকট তথা সংকটের কারনে পরীক্ষা বন্ধ থাকার কোন সুযোগ থাকছে না। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভরসায় বসে নেই। চেষ্টা করছি প¦ার্শবর্তী যে কোন হাসপাতাল কিংবা অন্য কোন ভাবে কিট সংগ্রহ করার। তিনি আরো বলেন আশা করছি আগস্ট মাসে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমে আসবে। আর রোগী কমলে স্বাভাবিক ভাবেই কিটের চাহিদা কমবে। তারপরও আমরা সর্বাতœক প্রস্তুতি নিয়ে রাখব। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন আমাদের বর্তমানে ১৫ দিনেরও বেশী কিট মজুদ আছে। সংকট নিয়ে আমাদের শংকা নেই।
তিনি বলেন হাসপাতালে প্রতি ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ রোগীর ডেঙ্গু সনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু এর বিপরীতে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে অন্তত ৫ গুন রোগীর। সে হিসাবে বিপুল পরিমান কিট নষ্ট হয় বা হচ্ছে। কিস্তু এখানে কিছু করার নেই। তিনি আরে বলেন আমাদের কিটের কোন সংকট নেই। মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠান প্রধান চাইলেই স্থানীয় ও অন্য যে কোন ভাবে কিট সংগ্রহ করতে পারবে। বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন তার জেলার ৬ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিটের কোন সংকট নেই। রোগীরা অনায়াসে পরীক্ষা করা ও যথাসময়ে রিপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ৬০ টাকার বেশী নেওয়া হচ্ছে না তার হাসপাতালে। পিরোজপুর জেলা সিভিল ডাঃ হাসানাত ইউসুফ জাকি, ভোলা জেলা সিভিল ডা. কে এম শফিকুজ্জামান, ঝালকাঠি জেলা সিভিল ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা সিভিল ডাঃ কবির হাসান জানিয়েছেন তাদের জেলায় ডেঙ্গুর কিটের কোন সংকট নেই। রোগীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা করাতে পারছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *