বরিশালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, হামলায় আহত- ৪


বরিশাল অফিস : সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে প্রায় ১০/১২ মিলে চার জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শুক্রবার (৩০ মে) রাত আনুমানিক সোয়া ১০টা থেকে পৌনে ১১ টার মধ্যে বরিশাল নথুল্লাবাদ সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বরিশাল বিমান বন্দর থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একটি টিম।
হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির সিকদার বলেন, শোনা মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। আর ঘটনাস্থলে পুলিশের পর সেনাবাহিনীর একটি টিম পৌঁছে ছিল।
আহতরা হলেন- মো. আক্তার হোসেন খোকা (৪৮), জুয়েল হাওলাদার (৪৮), জিন্না খান (৫২) ও মাসুদ (৫৪)। তারা জানান- মার্কেটের সামনে থাকা দোকানগুলো থেকে চাঁদা উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হলেন- শাওনের নেতৃত্বে ভাই সজীব, ফোরকানসহ প্রায় ১০/১২ জন।
আ.লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগ কর্মী মো. শাওন গত ৫ আগস্টের পর সমন্বয়ক পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে। শাওন নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান- বরিশাল বিমানবন্দর থানার অন্তর্ভুক্ত পূর্ব পাংশা গ্রামের মো. শাহজান হাওলাদারের ছেলে আক্তার হোসেন খোকা। তিনি ওই সেন্টার পয়েন্ট মার্কেটের মালিক। ঘটনার শুরুতে যুবকরা এসে সম্বন্নয়ক পরিচয় দিয়ে হামলাকারীদের পক্ষে অবস্থান নেয়।
শাওনের লোকজন সম্বন্নয়ক পরিচয় দিয়ে এ সব অপকর্ম করে আসছে। শাওনের বিশ্বস্ত সহযোগী সজীব ও ফোরকান সম্প্রতি চাঁদা উত্তোলনের সময় বিমান বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল স্থানীয় লোকজন।
খোকা বলেন,হামলাকারীরা আমার বাম হাত, পা ও পিঠ সহ শরীরের সব স্থানে কম বেশি বেদম মারধর করেছে। তাই অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হয়েছে। বাকি তিনজন সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন- নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড দরগাবাড়ি এলাকার মো. অলিউল ইসলামের ছেলে মাসুদ, নথুল্লাবাদ শের-ই বাংলা সড়ক এলাকার বাসিন্দা মৃত.আ. সত্তার খানের ছেলে জিন্না খান ও এম. এ কামাল হাওলাদারের ছেলে জুয়েল। তারা আহত আক্তার হোসেন খোকার বক্তব্যকে একমত বলে ব্যক্ত করে বলেন- হঠাৎ হামলা, প্রথমে ছাদে পরে মধ্যে ও নিচে।
মুঠোফোনে শাওন জানান, এ ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরো বিমান বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করেছেন। তার জানা মতে, ওই মার্কেটের সামনে ভাসমান ভাবে ব্যবসা করা এক মহিলার দোকানের মালামাল ফেলে দেয়া হয়। কারণ মামুন নামের এক লোক এ মহিলার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। আর মামুন হলে মার্কেট মালিকের ম্যানেজার। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ও ছাত্র মিলে কারণ জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আটকে রাখা হয়। এই আটকে রাখার কারণেই মারামারির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই ঘটনার মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।