কুয়েতে ভিসা প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, রাষ্ট্রদূত


জাহিদ হোসেন জনি
কুয়েত প্রতিনিধি
বর্তমান সময় অনলাইন এর ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে ও ফেসবুকের মাধ্যমে যারা ভিসা প্রতারণার কাজ করে যাচ্ছেন তাদের খোঁজ নিচ্ছি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাস এর রাষ্ট্রদূত , তিনি বলেন যদি জানতে পারি তারা এসবের সাথে জড়িত তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সাথে যারা না জেনে না বুঝে ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছেন তাদেরও সতর্ক করছি। এই ধরনের কোন কর্মকান্ডে আপনারা যুক্ত হবেন না, কারণ টাকা নেওয়া যেমন অবৈধ, তেমনি টাকা দেওয়াও অবৈধ।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় প্রবাসীদের সতর্ক করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য প্রবাসীরা নিজেদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন করে থাকেন, যার কোন লিখিত প্রমাণ তারা রাখেন না। পরবর্তীতে যখন সমস্যা হয় তখন তারা দূতাবাসে এসে অভিযোগ করেন। তাদের উচিৎ ব্যবসা বাণিজ্য বা অন্য কোন কাজে লোন দিয়ে থাকলে তার লিখিত ডুকুমেন্ট এবং সাক্ষী রাখা।
তিনি জানান, যারা কোম্পানিতে আছেন তাদেরকে অনেকে প্রলোভন দেখায়, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করে দিবে। তাদের জানা উচিৎ তারা যেই কোম্পানিতে আছে সেই কোম্পানির ভিসায় ট্রান্সফার হবে কিনা সেটার আগে খুঁজ খবর নেওয়া। মিথ্যা প্রলোভনে পা দিয়ে শুধুমাত্র কথার আশ্বাসে যাতে টাকা পয়সা লেনদেন না করে। যদি কেউ এমন প্রলোভন দেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দূতাবাসে এসে অভিযোগ করুন। দূতাবাস তার ব্যবস্থা নিবে।
কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএমইটি কার্ড থাকলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিমাসে ২৫০০ টাকা দিচ্ছে। এটা মোটেও সত্য নয়। তবে এই কার্ড থাকলে কিছু সুযোগ সুবিধা সরকার থেকে পাওয়া যায়। যেমন: লোন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে, শিক্ষা বৃত্তির ক্ষেত্রে কিংবা প্রবাসী মারা গেলে তার পরিবার কিছু সুবিধা পাওয়া।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, অনেকে প্রবাসে বসে দেশ বিরোধী রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের অনুরোধ করবো আপনারা এমন কিছু করবেন না যেটার কারণে আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আপনাদের রেমিট্যান্স দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ২০২২ সালে আপনাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনারা আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা বৈধ পথে পাঠিয়ে নিজের এবং পরিবারের উপকার করবেন।