২০ লাখ টাকা ঘুস না দেয়ায় টেন্ডার বাতিল,আটকে গেল বরিশাল গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ভবন নির্মান কাজ


মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরিশাল উপ-বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর বরিশাল অঞ্চলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের ভয়ংকর সব তথ্য।
২০ লাখ টাকা ঘুস না দেয়ায় টেন্ডার বাতিল :
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের খুলনা বিভাগের অধীনে বরিশাল উপ বিভাগের জন্য রুপাতলী হাউজিং এস্টেটে চার তলা ফাউন্ডেশন এবং দু’তলা অফিস ভবন নির্মান ও অভ্যান্তরীন স্যানিটারি ও বৈদ্যুতিক কাজের দরপত্র আহবান করা হয় ২০২২ সালের ১৭ আগষ্ট।
একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর দরপত্রে সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয় কাজী হোল্ডিং।দ্বিতীয় দরদাতা হোন সাংহাই জিয়ারুই মেটালোজিক্যাল এন্ড হেভী ম্যাশিনারী বিডি লিমিটেড। তৃতীয় দরদাতা হলেন এস এ ট্রেডিং করপোরেশন।
সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে কোটেশন দর প্রদান করেন দুই কোটি তেত্রিশ লাখ ৯৭ হাজার এক শত ৪৪ টাকা।অফিসিয়াল কস্ট ইস্টিমেট ছিল দুই কোটি ৩৩ লাখ ১২ হাজার দুই শত ছত্রিশ টাকা। পে অর্ডারসহ সকল বিধি বিধান মেনে দরপত্রে অংশ নিয়ে কাজী হোল্ডিং সর্ব নিম্ম দরদাতা হলেও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি। সুত্র জানায় কাজী হোল্ডিং দরপত্রে সর্ব নিম্ম দরদাতা হিসেবে উত্তীর্ন হলেও আটকে যায় কার্যাদেশ।কারন কাজটি থেকে বিশ লাখ টাকা ঘুস দাবী করেছিলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বরিশাল উপ-বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কাজী হোল্ডিং এর প্রতিনিধি এ প্রতিনিধিকে জানান,মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ ও ঘুসখোর লোক।রফিকের দাবীকৃত বিশ লাখ টাকা ঘুস না দেয়ায় কার্যাদেশ প্রদান করেন নি তিনি।
এছাড়া মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অন্যের নামে তিনি পুকুরে মাছ চাষ করে আয় করছেন বিধি বহির্ভূত ভাবে। রুপাতলী হাউজিং এস্টেটের জমিতে নার্সারী ও দোকান ভাড়া দিয়ে ভাড়া আদায় এবং বিভিন্ন নামে ড্রেন নির্মান,বাউন্ডারি দেয়াল নির্মান,গ্যারজ নির্মানের কার্যাদেশ দেখিয়ে নিজেই এসব নির্মান কাজে জড়িত ছিলেন।করেছেন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ। এ দিকে ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে এক টাকার কাজ ও পণ্য ক্রয় না করেও ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন:
বরিশাল হাউজিং এস্টেটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সম্পদের পাহাড়
মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার আপন ভাই আনোয়ারের মাধ্যমে ঘুসের টাকা লেনদেন করেন।সেপ্টেম্বর মাসেই এক দিনে আনোয়ারের ব্যাংক একাউন্টসে ৬০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।
একই কর্মস্থলে ১৫ বছর :
বছরফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার প্রভাবে বরিশাল হাউজিং এস্টেট রুপাতলীতে স্বজনদের নামে নিয়েছেন ৩ টি প্লট। বরিশাল,পিরোজপুর ও নলছিটি হাউজিং এস্টেটে প্লট বানিজ্য করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।
মোঃ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পাশাপাশি বরিশাল উপ -বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলীর দ্বায়িত্বে ছিলেন।দু হাতে কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন একজন সমাজ সেবক।দুদক তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে রফিকুল ইসলামের সকল অবৈধ ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের বিবরন।
সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। ভিজিট করুন : http://www.etihad.news
* অনলাইন নিউজ পোর্টাল ইত্তেহাদ নিউজে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় ।