বাংলাদেশ ঢাকা

রায় ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা চাপা দিতে অধস্তন বিচারককে জেলা জজের হুমকি-ধমকি, কথোপকথন…

জজ মো. সোলায়মান
print news

শীর্ষনিউজ : প্রকাশ্য আদালতে অধস্তন বিচারকের ঘোষণা করা রায় গোপনে ছিঁড়ে ফেলেছেন ঘুষ লেনদেনে বেপরোয়া শরীয়তপুরের সিনিয়র জেলা জজ ও দায়রা মো. সোলায়মান। শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ (বর্তমানে ঢাকার সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) মো. আরিফুল ইসলাম এই রায় দেন। আরিফুল ইসলাম রায় ঘোষণার দুই দিন পরে নথি তলব করে নেন জেলা জজ মো. সোলায়মান। নথি তলবেও তিনি জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেন। রায় ছিঁড়ে ফেলার এই ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হুমকি-ধমকিসহ নানা কৌশলও অবলম্বন করেন জেলা জজ। সম্প্রতি ২০২৪ সালের এসিআর প্রদানের বিষয়ে আরিফুল ইসলাম অনুরোধ করলে জেলা জজ মো. সোলায়মান নিজেই অফিসিয়াল নম্বর ০২৪৭৯৯৫৪০১০ থেকে ফোন করে তাকে ছুটির গেজেট নিয়ে শরীয়তপুরে যেতে বলেন। সেই অনুযায়ী তিনি গত ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ শরীয়তপুর যান। জেলা জজ সোলায়মানের সঙ্গে খাস কামরায় দেখা করেন। কিন্তু, আরিফুল ইসলামকে দেখেই জেলা জজ তাৎক্ষণিকভাবে অত্যন্ত ক্ষেপে যান। চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে দেন। আদালতের স্টাফরাও সেখানে উপস্থিত হন। এসিআর তো দেনই-নি, উল্টো দীর্ঘক্ষণ ধরে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, হুমকি-ধমকি দেন। আরিফুল ইসলামকে এসিআর খারাপ দেওয়া, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, এমনকি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারেরও ভয় দেখান জেলা জজ সোলায়মান। আরিফুল ইসলাম নিজের মোবাইল ফোনে জেলা জজ সোলায়মানের কথোপকথন এবং অসদাচরণ রেকর্ড করেন। নিম্নে এই কথোপকথনের রেকর্ড তুলে ধরা হলো-
জেলা জজ: আপনি আমার বিরুদ্ধে যা করছেন….যা বলছেন।
আরিফুল ইসলাম: স্যার আপনার সাথে তো আমার দেখাও হয় নাই।
জেলা জজ: আপনি আমার বিরুদ্ধে যা করছেন, কেন করছেন, আমি তা নিজেও জানি না কেন করছেন।
জেলা জজ: আমি আপনাকে যা পাইছি তা লিখে দিবো।
জেলা জজ: এখানে তো কেউ কারো শত্রু না, আমিও আপনার শত্রু না আপনিও আমার শত্রু না। আপনার সাথে আমার চাকরিই বা কতদিন।
আরিফ: আপনার সাথে যদি কোন ভুল বুঝাবুঝি হয়, স্যার…স্যার
জেলা জজ: আপনি আমার সাথে চাকরি করছেনই বা কতদিন।
জেলা জজ: আপনি আমার সাথে চাকরি করছেনই বা কতদিন তবে আপনি আমার সাথে অবিচার করছেন। কাজটা ঠিক করেন নাই।
আরিফ: আমার সাথেও তো অবিচার হইছে স্যার।
জেলা জজ: আমি আপনার সাথে কোন অবিচার করি নাই।
আরিফ: স্যার নথি নিয়ে আমার সাথে যা হইছে আমি কি অপরাধ করছি স্যার।
জেলা জজ: নথি নেওয়ার ক্ষমতা ২৪ ধারায় জেলা জজকে দেয়া আছে কিনা, বিনা কারণে জেলা জজ চাইলে নথি নিয়ে যেতে পারবে।
আরিফ: আমি তো রায় দিয়েছি মামলাটায়।
জেলা জজ: কোথায় আমি তো রায় পাই নাই নথিতে। আমি নথিতে কোন রায় পাই নাই। আমি নথিতে কোন রায় পাই নাই, আমি নথিতে কোন রায় পাই নাই।
আরিফ: পেশকার সাহেব বলছে আপনি রায় ছিঁড়ে ফেলছেন।
জেলা জজ: আমি নথিতে কোন রায় পাই নাই।
আরিফ: পেশকার সাহেব বলছে আপনি রায় ছিঁড়ে ফেলছেন।
জেলা জজ: আমি? অসম্ভব।
আরিফ: পেশকার হাবিব বলছে আপনি রায় ছিঁড়ে ফেলছেন, আমি রায় দিয়ে রিসিভ করাইছি।
জেলা জজ: অসম্ভব, অসম্ভব।
আরিফ: না না স্যার।
জেলা জজ: অসম্ভব। সোলায়মান জীবনেও এ কাজ করে নাই।
আরিফ: আমি প্রকাশ্যে রায় দিছি।
জেলা জজ: তা তো আমি জানি না। আমি রায় পাই নাই, এটা মিথ্যা কথা ডাহা মিথ্যা কথা।
আরিফ: আমি জমা দিছি, আমি প্রকাশ্য আদালতে রায় দিয়েছি এবং তা ডায়েরি কজ লিস্টে লেখা আছে।
জেলা জজ: আপনি কি করছে না করছেন আমি তো জানি না, আমি নথি তলব করছি, নথিতে কোন রায় পাই নাই।
আপনি যা বলছেন পেশকার সাহেব যদি বলে থাকে সে ভুল করছে, আর আপনি বলে তা ভুল করতেছেন।
জেলা জজ: মিথ্যার একটা সীমা আছে এবং ওই দিনও ডায়েরি কজ লিস্টে আপনার তারিখ ধার্য নাই। ডায়েরি কজ লিস্টে লেখা নাই আমি আপনার কোন রায় পাই নাই।
জেলা জজ: আপনার রায়, এই ইয়া করেন তো, নথিটা টুয়েন্টি ফোর করে, কি বলে ই্যায়া, কি বলে আমাদের সাদ্দামের কোর্ট নড়িয়া, ওই কোর্টে যে পাঠাইছি, আমি যে টুয়েন্টি ফোর মঞ্জুর করছি সেটা আনেন তো। সেই দরখাস্তটা টুয়েন্টি ফোরের আবেদনটা আনেন। (জোড় কণ্ঠে ও রাগান্বিত কণ্ঠে)।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা: নথি?
জেলা জজ: একটা পক্ষ টুয়েন্টি ফোর এর আবেদন করেছিল আগের এও থাকাবস্থায়, এও থাকাবস্থায় করছে। এও থাকাবস্থায় এও এর কাছে আসছে। এও সাহেব হচ্ছে চার দিন পর আমার সামনে উপস্থাপন করছে এবং ঐদিনই আমি নথিটার টুয়েন্টি’ কোর মধুর করে আর্মি কোর্টে পাঠানোর আদেশ নিছি। সেই মিগ কেলটা আনবেন আর যেই নথিটা সেখানে করা হইছে দুইটা নথি নিয়ে আসেন।
আরিফ: আমার ইজ্জতের যে ক্ষতি হইছে তারও বিচারও আমি আল্লাহর কাছে দিয়ে দিছি।
জেলা জজ: যে ক্ষতি আপনি এখন আমার করতেছেন এবং যে ক্ষতি আপনি আমার করেছেন, তার বিচারও আমি আল্লাহর কাছে আমি দিয়ে দিলাম। (উচ্চ কণ্ঠে)।
জেলা জজ: আপনি আমার কি ক্ষতি করছেন খুব ভালভাবে আপনিও জানেন আমিও জানি। গোটা জুডিসিয়ারী আপনার সম্পর্কে জানে, টোটাল জুডিসিয়ারী আপনাকে জানে। অত্যাচারের একটা সীমা আছে, আমার সম্পর্কে মিথ্যাচার করে। গায়ের পাওয়ার শো করে।
জেলা জজ: আপনি পেশকারকে ডাকেন। আপনি নথিতে যা করছেন তার প্রমান আমি এখনি দেখাচ্ছি, আমি যা করছি আমি এখনি তা দেখাচ্ছি।
জেলা জজ জনাব মো: সোলায়মান বলেন,
জেলা জজ: অত্যাচারের একটা সীমা আছে। আমার সম্পর্কে মিথ্যা রেম দেয়। আমি যা করছি দেখাচ্ছি, মিথ্যা রেম দেন, অত্যাচারের সীমা আছে, হাসরের মাঠে আল্লাহর কাছে বিচার দিবো। পেশকার মিথ্যা বলছে।
জেলা জজ মো: সোলায়মান বলেন, টুয়েন্টি ফোর করতে রায়ের নথি লাগে না। কোথাও বলা নাই নথি লাগে। টুয়েন্টি ফোর করতে কারোও কাছে ব্যাখ্যা নিতে হয় না।
জেলা জজ বলেন, “আপনি যদি রায় দিয়ে থাকেন রায় হওয়া অবস্থায় টুয়েন্টি ফোর হবে তাইলে। যদি রায় দিয়ে থাকেন ঐ নথিটা সরাইয়া দিছি ওখান থেকে।
জেলা জজ: আপনি এসিআর নিতে আসছেন আপনি আমার সামনে যা যা করছেন আপনি তাই পাবেন এর বাইরে আমি কিছু বলছি আপনাকে আমি যদি ভুল করে থাকি আমার কর্তৃপক্ষ দেখবে।
জেলা জজ: অন্দিনী সিনিয়র সহকারী জজ জেলা জজকে মিথ্যা ড্রেম দেন, অন্যায় আবদার করতেছেন। এখানে আমার অর্ডারটা কোমায় আহে, আপনার রায়টা কোথায় আছে। নথিতে রায়টা কোথায়? জেলা জজকে ব্লেম দিচ্ছেন জেলা জজ আপনার রায় ছিঁড়ে ফেলছ। ব্লেমের একটা সীমা আছে, গায়ের জোড় অন্য কোথাও দেখাবেন। আল্লাহ ছাড়া সোলায়মান কাউকে ভয় পায় না। মাইন্ড ইট। সীমা আছে একটা বেয়াদবির।
জেলা জজ: আগের জেলা জজের সাথে বেয়াদবি করছেন, সে আমাকে বার বার বলছে। চাকরি করবেন চাকরি নর্মস অনুযায়ী চাকরি করবেন।
জেলা জজ: আমি খারাপ অফিসার দেখছি, এত বড় দুষ্ট খারাপ অফিসার আমি লক্ষ করি নাই। সারা জুডিসিয়ারিতে একজনই আছে সে হচ্ছে মি: আরিফুর রহমান। সে এসিআর নিতে আসছে দিয়ে দিবো, সে এসিআর নিতে এসে আমার সাথে বেয়াদবি করে।
জেলা জজ: আমি বার বার বলছি আমার কাছ থেকে এসিআর নিয়েন না। আমি বার বার বলছি আপনি আমার কাছ থেকে এসিআর নিয়েন না। আমি যা সত্য আমি তাই লিখবো, আমি এখনো বলতেছি আমি আগ্রহ পেয়ে কোন এসিআর দিবো না যদি আপনার বিরুদ্ধে যায়। আপনি পারলে আপনার এসিআর ঠিক করে নেন আমারটা ছাড়া, আমি আপনার কোন ক্ষতি করি নাই, ক্ষতি করার কথা চিন্তাও করি না কিন্তু আপনি আমার ক্ষতি করছেন।
আরিফ বলেন, সবকিছুর পরে আপনি আমাকে মাফ করে দেন
জেলা জজ: মাফ চাইতে গেলে, জেলা জজ অত্যাধিক মারমুখি হয়ে বলেন, “এই বিষয়ে তুমি যদি ফার্দার আমাকে ডিস্ট্রাব করো আমি পুলিশে তোমাকে এরেস্ট করে পাঠিয়ে দিবো, সোজা জেলে পাঠিয়ে দিবো, তুমি আমার এখানে এসে আমাকে….. কোন ক্ষমা নাই তোমার, ফার্দার আরেকটা কথা বলি আমি পুলিশ দিয়ে তোমাকে জেলে পাঠিয়ে দিবো। জেলে পাঠিয়ে দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে ফৌজদারী প্রসিডিং শুরু করিয়ে দিবো। তুমি সোলায়মানকে চিনো না।
জেলা জজ: বেটা তুমি আমার সাথে ফাজলালি করো, এই বেটা আমি রায় ছিঁড়ে ফেলছি কত বড় মিথ্যা ব্লেম তুই আমারে দেস। সোলায়মান সম্পর্কে জানোস??
জেলা জজ: তুই অফিসার হওয়ার যোগ্য না তুই, তুই যে আচরণ করোছ, তুই জুডিসিয়াল অফিসার হওয়ার যোগ্য না, তুই জুডিসিয়াল অফিসার হওয়ার যোগ্য না, তুই অনেক মেধাবী, কিন্তু তুই তোর মেধা খারাপ রাস্তায় ব্যবহার করোস। তোর মেধা ভাল রাস্তায় ব্যবহার করোস না করলে তুই অনেক দূর আগাতে পারতি, এই উল্টা রাস্তাই তোর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়াবে। আমার চাকরির জীবন প্রায় শেষের দিকে। তোর অনেক রাস্তা খোলা আছে তোর অনেক মেধা আছে, তোর মেধা সঠিক রাস্তায় ব্যবহার করলে তুই অনেক দূর যেতে পারবি তোর মেধা আছে, তোর মেধাকে তুই খারাপ রাস্তায় ব্যবহার করোস। তুই মেধাকে খারাপ রাস্তায় ব্যবহার করোস, তুই মেধাকে খারাপ রাস্তায় ব্যবহার করোস, তুই একটা দুষ্ট হয়ে গেছিস এখন। তুই একটা দুষ্ট খারাপ মানুষ। আমি তোকে বার বার বলতেছি তুই একটা দুষ্ট ও খারাপ মানুষ এই জন্য আমি তোর এসিআর ধরতে চাই নাই যে আমার দ্বারা যেন তোর কোন ক্ষতি না হয়। এখন তোর ক্ষতি তুই নিজে করছোস, আজকে তুই যে বেয়াদবি করছোস তা ইতিহাসে বিরল। আমি মরার আগেও সকল চীফ জাস্টিসকে বলে যাবো এই অফিসার সেই অফিসার এবং এটার ব্যাখ্যা আমি লিখবো, এসিআর এর সব লিখবো। তুই যা করছোস তাই লিখবো। তুই আমাকে মরার ভয় দেখাস। সোলায়মান মরার ভয় পায় না, সোলায়মান আল্লাহ ছাড়া ভয় পায় না। বিগত ২৮ বছর ধরে সোলায়মানের ক্যারিয়ার দেখ, সোলায়মানের পূর্ব পুরুষের ক্যারিয়ার দেখ, আমার ফাদার একজন ইপিসিএস অফিসার। তার সন্তান আমি। জুডিসিয়ারী খুঁজে দেখ আমার মতোন কয়টা পাবি।
জেলা জজ: সোলায়মানকে চিনো তুমি? তুমি আর্মস এর ভয় দেখাও? ব্লাক মেইল এর ভয় দেখাও? ফেসবুকে মিথ্যা কনর্ভাসেশন শো করে দুনিয়া প্রচার করো, শয়তানী বুদ্ধি তো ভালই শিখছো। এই বুদ্ধিটা তুমি জজ হইয়া চাকরিতে লাগাইতা অ্যা.. বাংলাদেশেরও উপকার হইতো, তোমারও উপকার হইতো। তুমি নিজের ক্ষতি তুমি নিজে করছো। এই জেলা জজকে তুমি বুড়া বয়সে প্রেসার দিচ্ছো, এই অত্যাচার তুমি ফেস করে যারা এই দুনিয়াতে, আখেরাত তো আছেই। ফাজলামির একটা সীমা আছে। আমাকে বলে আমি তার রায় ছিঁড়ে ফেলেছি, ফাজলামির একটা সীমা আছে, আমি নাকি রায় ছিঁড়ে ফেলছি, ফাজিল কতো, শয়তান বেটা। কি বলবো আমি, কত বড় সাহস তার। ভদ্র মানুষ দেইখ্যা এখনো পুলিশে দেই নাই তোকে, তোর মতোন হলে আমি তোকে পুলিশে দিতাম। তোর চেয়ে আমি ভাল। সোজা বলতাম তুই আমাকে প্রেসার দিছিস, তোর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে দিতাম। দেখতাম তুই কি করিস। সে আমারে বলে রায় লিখছে, এই.. রায়টা লিখলোটা কই, দেখা কোন জায়গায় লেখা আছে রায়।
জেলা জজ: তোমার গয়ে এতো শক্তি হয়ে গেছে, তুমি জেলা জজকে মিথ্যা ব্লেম দাও। তুমি বিএনপির নেতা, দেখবোনে বিএনপির নেতা। আমি তারেক রহমানকে বলবো, আমি খালেদা জিয়াকে বলবো, ড. মঈন খানকে বলবো প্রত্যেকটা বিএনপির লিডারকে বলবো এ সে তোমাদের নাম ভাঙ্গাইয়া চলতেছে, এই হলো সে যা হয় আমি দেখবো। তুমি সোলায়মানকে চিনো নাই, সোলায়মানকে এখানে বসে থ্রেট দিতাছো। মনে করছো চুপচাপ মানুষ থাকে দাড়ি গোঁফ রাখে, দাড়ি রাখে, নামাজ পড়ে সে একটা ভোদাই। সে কোন হেড?
জেলা জজ: তুমি ফলস কনর্ভাসেশন কইয়া, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকে ও সাদ্দামকে জড়াইয়া তুমি পুরা ছড়াইয়া দাও মানে কি? আমি ঐদিন ই ফৌজদারি মামলা করতাম, কিন্তু করি নাই এবং ঐদিন উদ্ঘাটন করিয়া তোমাকে ঠিকি উদ্ঘাটন করিতে পারিতো এবং তুমি ফৌজদারি মামলায় পড়তা। সবাই বলছিল কিন্তু আমি মাফ করে দিছি। আজকে এই তার পরিনাম তোমাকে দয়া করা কি আমার ভুল হইছে। বার বার বলছি আমার কাছ থেকে এসিআর নিয়ো না এখন তুমি এখানে এসে আমাকে মিথ্যা ব্লেম দিচ্ছো। কত বড় সাহস বলে রায় ছিঁড়ে ফেলছি।
জেলা জজ: ঐ তারিখের রায় তুমি কার স্বার্থে দিছো? এটার ব্যাখ্যা আমি পুরাটা দিচ্ছি। আমি চীফ জাস্টিস বরাবর লিখে দিবো। রেজিস্ট্রার বরাবর লিখবো, আইন উপদেষ্টা বরাবর লিখবো। ফাজলামির একটা সীমা আছে, গায়ের জোড় দেখায় সব জায়গায়। অনেক গায়ের জোড় হয়ে গেছে তোমার সেটা আমি পরীক্ষা করবো, কত বড় শক্তি আছে সেটা আমি দেখবো। আমি সব জায়গায় বলবো, বেয়াদবির একটা সীমা আছে, তুমি তো চাকরি করার উপযুক্ত না।
জেলা জজ: একজন মানুষ কেমনে খারাপ হয়, শয়তানও এতো খারাপ না, সীমাহীন খারাপ। সেই সব নষ্ট করছে। আমি ২৪ মঞ্জুর করছি, তোমার নথিও আমি দেখিনাই রায়ও আমি দেখি নাই। ফাজিল কতো।
জেলা জজ: আমি তোমার কোন এসিআর দিতে চাচ্ছি না দিলে আমি খারাপ দিবো, আমি মিথ্যা কথা লিখবো না, আমি যা জানি আমি তাই লিখবো। আজকে যা করছো তাও, যদি এখানেই স্টপ হয়ে যাও আমি স্টপ। হ্যাঁ তুমি ফার্দার কিছু করবা না, তুমি স্টপ আমি স্টপ তোমার বিরুদ্ধে আমি একটা কথাও লিখবো না। বুঝা গেলো?
জেলা জজ: অপরাধ তো তুমি করছোই আমাকে ব্লেম দিছো। রাইট, রাইট, তুমি আমাকে ব্লেম দিচ্ছো আমি রায় ছিঁড়ে ফেলছি। তোমার নথি কি বলে তুমি রায় দিছো। বলো নথির কোন জায়গায় বলে তুমি রায় দিছো।
জেলা জজ: তুমি সিনিয়র সহকারী জজ, তুমি দেখাও তুমি কোথায় রায় দিছো। তুমি অবশ্যই অপরাধ করছো এই মুহূর্তে, আমাকে তুমি ব্রেম দিছো আমি তোমার রায় ছিঁড়ে ফেলছি। তুমি তো রায়ও লেখো নাই, আমি শুধু এই অর্ডারটা করছি, টুয়েন্টি ফোর এর দরখাস্ত এটা ছাড়া নথিও আমার সামনে আসে নাই।
জেলা জজ: আমি এই অর্ডার ছাড়া আর কোন অর্ডার করি নাই। ঐ দিন তোমার নথিও আমি আনি নাই। ঐ নথি ঐ জায়গা হতে ঐ কোর্টেই চলে গেছে। কারণ, আমার এই অর্ডার কপিটি আমি পাঠাইয়া দিছি শুধু, আর কিছুই করি নাই।
জেলা জজ: তুমি যদি এখন বলো তুমি রায় দিছো তাইলে এখন তুমিই নিজে বিপদে পড়বা, আমি বলবো এই তারিখে সে নিজেই এই আদেশ করছে, কোন রায় অর্ডার রায় নথিতে নাই। কি দিছে সেই ব্যাখ্যা সেই দেখ। ব্যাখ্যা দিয়ো তখন তুমি। নথি তুমি রায়ের জন্য রাখোই নাই তাইলে রায় তুমি কেমনে দিলা। পক্ষ কর্তৃক বায়াসড হয়ে রায় দিছো, তোমার রায় নথিতে নাই, তুমি নিজেই সাক্ষী রিকল করছো, তোমার সাক্ষী এখনো শেষ হয় নাই। সাক্ষী শেষ হয় নাই তুমি রায় কি করে দাও।
জেলা জজ: তুমি আমার উপর মিথ্যা ব্লেম দিছো আমি তোমার রায় ছিঁড়ে ফেলছি। তুমি আমাকে মিথ্যা ব্লেম দিতে পারো কি পারো না বলো? এই বেটা তোর রায় কি কয় তুই এই রায় লিখছোস? আবার ফাজিলের মতোন কথা কস? (অত্যাধিক খারাপ রাগন্ত কণ্ঠে), তোর এই নথি কি কয় তুই রায় লিখছোস? (কঠিন উত্তেজিত কন্ঠে), তুই ক? তুই দেহা আমারে, কই রায়।
জেলা জজ: তোর কথা কোট করে দিয়ে দেই? এত তারিখে আছে সে রায় লিখে দিছে? সে রায় দিছে স্বীকার করে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য? প্রয়োজনে এখানে ইনকোয়ারী বসানোর জন্য বলে দিবো। বলে দেই আমি? আরিফ বলে, “জি স্যার, দেন স্যার, আমি রায় লিখছি স্যার” কোথায় সেই অর্ডার কই? অর্ডার কই এই তারিখের? ১৮-০৯-২৪ তারিখে যে রায় হইছে তার অর্ডার কই?
জেলা জজ: তুমি ইন্সপেকশন করে আমার কাছে রির্পোট পাঠাইছো? তুমি তো পাঠাইছো তোমার পক্ষে একটা যুক্তি দাঁড় করানোর জন্য আমি না বুঝার মতোন জেলা জজ না?
জেলা জজ: তুমি বিনা কারণে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছো, কোন কারণ ছিল না। আমি তোমার কোন নূন্যতম ক্ষতি করি নাই। তোমার ক্ষতির কোন চিন্তাও আমি করি নাই।
এই বয়সেই সবাইকে ডিস্টার্ব করতেছো তুমি। এমন কোন অফিসার নাই যে তোমার সম্পর্কে ন্যূনতম পজিটিভ কথা বলে।।
জেলা জজ: তুমি তোমার নিজের আচরণ দিয়ে এগুলো তুমি তৈরি করতেছো। অযথা কোন দরকার ছিল না।
জেলা জজ: তুমি যে ফর্ম ফিলাপ করে পাঠাইছো, কোন নিষ্পত্তিই তো নাই তোমার? কোন নিষ্পত্তি নাই তোমার। তুমি যে ফর্ম ফিলাপ করে পাঠাইছো এখানে কোন নিষ্পত্তিই নাই তোমার। সুপ্রিম কোর্টের সার্কুলার অনুযায়ী কোন নিষ্পত্তিই তোমার নাই কেমনে তোমার এসিআর ভাল দিবো।
জেলা জজ: তুমি কোন নিষ্পত্তিই করো নাই। আমার এসিআর এখন গেলে সবগুলোই তোমার বিরুদ্ধে যাবে। একটাও তোমার পক্ষে যাবে না, একটাও তোমার পক্ষে যাবে না, পক্ষে যাওয়ার মতোন কোন আচরণ আমার সাথে করো নাই, কোন জুডিসিয়াল ওয়ার্ক করো নাই। ন্যূনতম মার্ক পাওয়ার মতোন কোন কাজ তুমি করো নাই, জেলা জজের সাথে আচরণ খারাপ করো।
জেলা জজ: প্রথম দিনই তুমি আমার সাথে খারাপ আচরণ করছো, ফলস সাক্ষীর সমন এনে প্রথম দিনই তুমি আমার সামনে নিজেকে নেগেটিভলি উপস্থাপন করছো। বসার পর হতে তোমার সম্পর্কে একটা ভাল নিউজ আসে নাই।
জেলা জজ: ১৮-০৯ এর পরে তোমার নথি আমার কাছে চলে আসছে।
জেলা জজ: তুমি রায় দিছো কোন অর্ডার এ আছে? তুমি স্টেশনে না থাকলে কে কি করবে? তুমি স্টেশনে নাই তুমি না বলেই চলে যাইতা। তুমি ড্যান কেয়ার তুমি জেলা জজকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করছো। না বলে তুমি যখন তখন স্টেশন লিভ করছো। তুমি মনে করছো তুমি অনেক পাওয়ারফুল জেলা জজ নোবডি। জেলা জজ নোবডি তোমাকে ডেকে স্টেশনে পাওয়া যায় না। যাওয়ার সময় তুমি জেলা জজের কোন অনুমতি নাও না। তুমি নাই জেলা জজের নির্দেশ কি সেরেস্তাদার পালন করবে না?
জেলা জজ: এই যে সে আবেদন করছে ২২-৯-২৪ইং তারিখে, এও সাহেব প্রভাবিত হইয়া আমার সামনে উপস্থাপন করছে ২৬-০৯-২৪ইং তারিখে, চার দিন পর প্রভাবিত হইয়া সে আমার কাছে নথি উপস্থাপন করছে ২৬-০৯-২৪ ইং তারিখে, যে তারিখে আমার সামনে উপস্থাপন করছে আমি সেই তারিখেই অর্ডার দিয়ে দিছি।
জেলা জজ: চিন্তা ভাবনা করছিলাম তোমার এসিআরটা কেমনে দেওয়া যায়, সব মিলাইতেছিলাম পরিবেশটা নষ্ট করে দিলো, বিনা কারণে, কারণ একটা আছে নিজেকে সে অনেক পাওয়ারফুল মনে করে। ড্যান কেয়ার কাউরে কিছু মনে করো না।
জেলা জজ: বিনা কারণে তুমি পরিবেশ নষ্ট করছো, আমার সাথে সম্পর্ক খারাপ করছো। আজকে আমার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করছো। বিনা কারণে কোন কারণ ছিল না।
জেলা জজ: তারপরও আমি টুয়েন্টি ফোর করছি, বাচ শেষ তোমার স্টপ থাকা উচিত ছিল। শেষ। শেষ। তোমার এত কি আগ্রহ পড়ছে তোমার রায় দিতেই হবে।
জেলা জজ: মানুষ কি বিচারের জন্য আসবে না? আসাটা কি তার অন্যায় হইছে? সে আসছে কয় তারিখে ২২ তারিখে। ২২ না? উপস্থাপন হইছে কয় তারিখে? ২৬ তারিখে। কারণ ঐ সময় এও বায়াসড ছিল। এও প্রভাবিত ছিল। চার দিন পর সে আমার সামনে উপস্থাপন করছে মানে ২৬ তারিখে। যদি ধরেই নেওয়া হয় তুমি রায় দিছো আগেই দরখাস্ত আছে, নথি কি বলে তুমি রায় দাও নাই।
জেলা জজ: যা হইছে হইছে, আল্লাহ্ তোমাকে ভাল করে দিক দোয়া করি, তুমি আমার সাথে যে আচরণগুলো করছো আমি ভুলে গেলাম, তুমি ফার্দার প্রসিড করবা না, আমি তোমার বিরুদ্ধে কোন স্টেপ নিবো না।
জেলা জজ: তুমি আমার সাথে যা যা করছো আমি তাই লিখে দিবো। তুমি আমার বিরুদ্ধে যা করছো আমি ভুলে গেলাম।
জেলা জজ: তুমি স্টপ হয়ে যাও, আমিও স্টপ হয়ে যাবো, তুমি ফার্দার আগালে আমি তোমাকে ছাড়বো না
জেলা জজ: আমি শুধু টুয়েন্টি ফোর শুধু মঞ্জুর করছি, আর কিছু করি নাই। দেখো এই টুকুতে তোমার কোন ক্ষতি হইছে কিনা এই মামলায়? তুমি বলতো এই টুকে তোমার মূল নথিতে এফেক্ট হওয়ার কোন সুয়োগ আছে কিনা?
জেলা জজ: আজ পর্যন্ত তোমার কোন ক্ষতি করছি? বলতে পারবা? তুমি নিজে বলছো হাইকোর্টে তোমার বিরুদ্ধে ডিপি করছে, অফিসাররা তোমার ক্ষতি করছে। হাইকোর্টে ডিপিটিপি করছে, কোন অফিসাররা করাইছে, তুমি বলতে পারবা তোমার বিরুদ্ধে কোথাও এক কলম লিখছি।
জেলা জজ: সবাই মিলা ২২ তারিখে টুয়েন্টি ফোরের আবেদন করছে, আগের এও বায়াসড হইয়া ২৬ তারিখে আমার সামনে নথি উপস্থাপন করছে। ভেজালটা লাগাইছে তোমার এও। সে যদি ২২ তারিখে উপস্থাপন করতো তাইলে ২২ তারিখে অর্ডার হইতো।
জেলা জজ: উকিলরা তোমার সম্পর্কে খারাপ বলছে। সেই ক্ষেত্রে জেলা জজের রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক কিনা বলো। রাগ হইছে এখানেই শেষ।
জেলা জজ: তোমার সম্পর্কে হাইকোর্টেও তোমার সম্পর্কে ভাল কোন বক্তব্য নাই, এমনকি বর্তমান রেজিস্ট্রার জেনারেল তোমার বিষয়ে পজিটিভ কিছু বলে নাই, নেগেটিভ বলছে।
জেলা জজ: আরিফ বলে, রেজিস্ট্রার জেনারেল স্যারের সাথে আমার কোন দিন কথাও হয় নাই, দেখাও হয় নাই।
জেলা জজ: হয়তো অন্য কোন জেলা জজ বাজে কিছু তার কাছে বলছে। কারণ, তোমার চেয়ে তো জেলা জজ সিনিয়র অফিসার, সিনিয়র অফিসারের কথাই শুনবে। এটাই স্বাভাবিক। তোমার সর্ম্পকে যা শুনছি তাই বলছি।
জেলা জজ: আমার রাগ বেশিক্ষণ থাকে না তবে তুমি ফেসবুকে যে কাজটা করছো, খারাপ কাজ করছো ঐগুলো আর কইরো না। ফেসবুকের কাজটা খুবই খারাপ করছো। আমি স্টেপ নিতে পারতাম ইভেন, তারাও মামলা করতে চাইছিল আমি বাদীকে স্টপ করাইছি, থানায় মামলা করতে চাইছিল সেটাও বন্ধ করে দিছি।
জেলা জজ: অনর্থক আমার সাথে হযরবল সম্পর্ক তৈরি করছো। তুমি আমার সিনিয়র সহকারী জজ, আমি তোমার জেলা জজ, আমার সাথে তোমার সম্পর্ক সারাজীবন ভাল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তুমি বিনা কারনে আমার সাথে সম্পর্ক খারাপ করছো।

 

 

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.