বোয়ালখালী চেয়ারম্যানের পরিবারের সম্পদের খোঁজে দুদক


চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, ছেলে মোহাম্মদ সারোয়ার করিম ও মেয়ে সাজরিন করিম রাইসার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তথ্য, রেকর্ডপত্র সরবরাহ করতে বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদক-সূত্র জানায়, বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদণ্ডী মৌজার কিছু জমি অধিগ্রহণ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। কিন্তু জমির দাম অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজার পরিবারের বিরুদ্ধে। জমির দাম বেশি দেখিয়ে রাজা পরিবারের সদস্যরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ পাওয়ার পর গত ৯ মার্চ দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে রাজা পরিবারের সম্পদের অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গত ২৩ জুলাই বোয়ালখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর চিঠি দিয়েছে দুদক। চিঠিতে রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দলিল রেজিস্ট্রির তথ্য চাওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেজাউল করিম রাজার নিট সম্পদের পরিমাণ ৭২ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৫ টাকা। আবার ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী রেজাউল করিম বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে (এফডিআর) বিনিয়োগ করেছেন ২ কোটি
২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় নজরে আসার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
রেজাউল করিম রাজা বলেন, আমি আমার জমি হস্তান্তর করেছি। এগুলো মৌজা মূল্যে সরকারকে দেওয়া হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার সবটাই মিথ্যা।
দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনে অনুসন্ধান শুরু করেছি। অনুসন্ধান শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলটির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হন রেজাউল করিম রাজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি। গত ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রেজাউল করিম রাজা।