সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যুতে বদলে গেছে দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যুতে বদলে গেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীর মৎস্য ও কৃষি খাত। নির্মাণ হয়েছে অনেকগুলো বরফ কল। ফলে এখন মৎস্যনির্ভর এলাকা রাঙ্গাবালীর মাছ সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে দেশ-বিদেশে।
তিন দিকে নদী আর এক দিকে বঙ্গোপসাগর। এরই মাঝখানে প্রায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের এক দ্বীপের নাম রাঙ্গাবালী। সাগর ও নদী বেষ্টিত হওয়ায় বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপটিতে ছিল না কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এই জনপদ যুগ যুগ ধরে ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এখানে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এর পরই বদলে যায় মৎস্য ও কৃষি নির্ভর এ জনপদের মানুষের ভাগ্য। একের পর এক গড়ে ওঠে বরফ কল। এক সময় বরফ সঙ্কটে মাছ পচে যাওয়ার ভয়ে কম দামে বিক্রি করলেও এখন বরফে সংরক্ষিত মাছ যাচ্ছে দেশ-বিদেশে।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব বলেন, আমি এমপি হওয়ার পর প্রথম সংসদ অধিবেশনে অবহেলিত রাঙ্গাবালীকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। তার বিশেষ উদ্যোগে এখানে তিন নদী পেরিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
এই উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে চার ইউনিয়নই উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন। সড়ক পথে এক ইউনিয়নের সাথে অন্য ইউনিয়নের কোনো যোগাযোগ নেই। এত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েও সব ক’টা ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে।