অনুসন্ধানী সংবাদ স্বাস্থ্য

মানহীন নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সয়লাব : নেই হোস্টেল – দক্ষ জনবল ও শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ

ভর্তি পরীক্ষা 750x430 1
print news

ইত্তেহাদ অনলাইন ডেস্ক : সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ক্লিনিকগুলোয় নার্স হিসেবে কাজের সুযোগ বাড়ছে। দেশের বাইরেও নার্সিং পেশায় যুক্ত হচ্ছেন অনেকে। এর সুযোগ নিয়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক মানহীন নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে সিংহভাগেরই নেই একাডেমিক ভবন, হোস্টেলসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক, দক্ষ জনবল কিংবা শিক্ষা উপকরণ। এমনকি ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের জন্য নিজস্ব হাসপাতালসহ নার্সিং শিক্ষার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। ভবন বা ফ্লোর ভাড়া নিয়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও রয়েছে গলদের অভিযোগ। দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বরের একটি ভবন ভাড়া নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বেসরকারি সাইক নার্সিং কলেজ। তার পাশের ভবনেই হামিদা নার্সিং ইনস্টিটিউট নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড। ওই এলাকার সাড়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে চোখে পড়ে আরো পাঁচ নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সাইক থেকে আল-হেলাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার, মিরপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের দূরত্ব ২ দশমিক ৩, ট্রমা নার্সিং ইনস্টিটিউটের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ইনস্টিটিউটের দূরত্ব ৩ দশমিক ২ ও নর্থওয়েস্টার্ন নার্সিং কলেজের দূরত্ব সাড়ে তিন কিলোমিটার। শুধু মিরপুরেই নয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও মগবাজার—এ চার এলাকায়ই রয়েছে অর্ধশতাধিক নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধানমন্ডি এলাকায় স্কয়ার কলেজ অব নার্সিং ও নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। আর সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরো সাত নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কয়ার থেকে যমুনা ফাউন্ডেশন অব নার্সিংয়ের দূরত্ব এক কিলোমিটার, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সেসের দূরত্ব দেড় কিলোমিটার, ডিসিএমটি নার্সিং ইনস্টিটিউটের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার, সেন্ট্রাল হসপিটাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের দূরত্ব তিন কিলোমিটারের কিছু কম, ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের দূরত্ব সোয়া তিন কিলোমিটার ও গুলশানারা নার্সিং কলেজের দূরত্ব সাড়ে তিন কিলোমিটারের কিছু বেশি। মোহাম্মদপুরে বুফাইদা কলেজ অব নার্সিং ও নাইটিংগেল নার্সিং কলেজের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। ওই এলাকায় চার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরো সাতটি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মগবাজার ও শাহবাগ এলাকায়ও প্রায় একই অবস্থা। কোনো কোনো এলাকায় আবার একই ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিগত কয়েক বছরে দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নার্সিং ডিগ্রি। এ কারণেই বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট বেড়েছে। তবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় অংশই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং শিক্ষার মান নিশ্চিতে সরকার ২০১৫ সালে ‘বেসরকারি পর্যায়ে নার্সিং কলেজ বা নার্সিং প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও নার্সিং কোর্স চালুকরণসংক্রান্ত নীতিমালা’ নামে একটি বিধি পাস করে। নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে নীতিমালায় বেশকিছু শর্ত রয়েছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে ৫০ ছাত্রীর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কমপক্ষে ৩০ হাজার বর্গফুটের একাডেমিক ভবন থাকতে হবে। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সঙ্গে ভবনের পরিধি বাড়বে আনুপাতিক হারে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রয়োজনীয় আসবাবসহ পৃথক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয় নীতিমালায়। একাডেমিক মান নিশ্চিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ল্যাব কোর্সে আট শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক থাকবেন একজন, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম ও ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্র্যাকটিসের জন্য ন্যূনতম ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নিজস্ব হাসপাতাল থাকতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব হাসপাতাল না থাকলে ন্যূনতম ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি থাকতে হবে। সরজমিনে ঢাকার নার্সিং কলেজগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, অর্ধেকের বেশি বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠানেই মানা হয়নি এসব শর্ত। মিরপুর এলাকার ১০টি নার্সিং ইনস্টিটিউটের মধ্যে কেবল দুটি নার্সিং কলেজের নিজস্ব হাসপাতাল ও একাধিক ভবন রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি নার্সিং কলেজই একটিমাত্র ভবনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই রয়েছে শিক্ষক সংকট। একই অবস্থা মোহাম্মদপুরের নার্সিং কলেজগুলোরও। মিরপুরের দুটো নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হামিদা নার্সিং ইনস্টিটিউট ও সাইক নার্সিং ইনস্টিটিউট সাইক গ্রুপের মালিকানাধীন। গ্রুপের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা জেলায় মোট পাঁচটি নার্সিং ইনস্টিটিউট এ গ্রুপের মালিকানাধীন। সাইক গ্রুপের মালিকানাধীন অন্য তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো মাদার কেয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউট, অ্যাডভান্সড নার্সিং ইনস্টিটিউট ও মাদার কেয়ার মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট। তবে ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের বিষয়ে দেয়া তথ্য বলছে, তাদের পাঁচ নার্সিং ইনস্টিটিউটের জন্য শিক্ষক সংখ্যা কেবল ১২। যদিও সাইক নার্সিং কলেজ ও হামিদা নার্সিং ইনস্টিটিউটেই শিক্ষার্থী রয়েছেন সহস্রাধিক। মিরপুরের আরেক প্রতিষ্ঠান মিরপুর ইনস্টিটিউট অব নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে গিয়ে দেখা গেছে, ছয়তলা ভবনের নিচতলায় ইসলামী ব্যাংকের বুথ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বার, দ্বিতীয় তলায় স্পার্ক ডেন্টাল কেয়ারের অফিস ও তৃতীয় তলায় নার্সিং ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইনস্টিটিউটটিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক, শ্রেণীকক্ষ ও আবাসন সুবিধা নেই। আছে ল্যাব সংকট। বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পর্যাপ্ত মান নিশ্চিত না হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি নার্সিং লাইসেন্সিং পরীক্ষায় ফুটে উঠেছে। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি এবং সমমানের ডিগ্রি সম্পন্নকারীদের পেশাগত জীবনে প্রবেশের জন্য নিবন্ধন নেয়া বাধ্যতামূলক। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে এ নিবন্ধন নিতে উত্তীর্ণ হতে হয় কম্প্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষায়। যদিও গত ২৯ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশই অকৃতকার্য হয়েছেন। মোট ৩ হাজার ২৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন কেবল ৬৭৪ জন। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, ‘নার্সিং কলেজগুলোর অধিকাংশই ২০২১-এর আগে অনুমোদন পেয়েছে। গত দুই বছরে নতুন মাত্র তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। নার্সিং কলেজগুলোর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরাও বিভিন্ন অভিযোগ শুনছি। এ কারণে শিক্ষার মান নিশ্চিত না হয়ে এখন আর কোনো কলেজের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। আগে অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও যাতে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কঠোর হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে নতুন বিধিমালা তৈরি হচ্ছে। কয়েক মাসের মধ্যেই তা পাস হবে। আগের তুলনায় এ বিধিমালা কঠোর হবে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো আইন লঙ্ঘন করে বা আইনে উল্লেখিত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে পরিচালনা করতে পারবে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে দক্ষ নার্সের বিকল্প নেই। কিন্তু দেশে বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষত গত কয়েক বছরে নতুন যে নার্সিং ইনস্টিটিউটগুলো নিবন্ধন পেয়েছে তার বেশির ভাগই দু-তিনটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায়। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের কিছু কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে নিজেদের পছন্দের ব্যক্তির নামে বেসরকারি নার্সিং কলেজের অনুমোদন দিয়ে আসছেন। এমনকি টাকার বিনিময়ে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকেও নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের দেশের বেসরকারি নার্সিং কলেজগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এর অধিকাংশকে নিয়ে অভিযোগ থাকলেও অধিদপ্তরের কিছু করার সুযোগ নেই। আমরা সাধারণত সরকারি কলেজগুলো পরিদর্শন করে থাকি। জানামতে দেশের বেসরকারি নার্সিং কলেজগুলো মূলত কয়েকটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মধ্যে সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাতের প্রায় ৪৪টি নার্সিং কলেজ রয়েছে। ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলামের নামে নিবন্ধন রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

নার্সিং শিক্ষার প্রসারে কয়েক মিটার পরপর নার্সিং কলেজ প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। দেশে মূলত প্রয়োজন ভালো সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কলেজ। সেই সঙ্গে এভাবে প্রতিষ্ঠান খোলা বন্ধ করতে হবে। তাদেরই কেবল অনুমোদন দিতে হবে যারা প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি নিয়মিত কঠোর মনিটরিং জরুরি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে বর্তমানে নার্সিং ইনস্টিটিউটের সংখ্যা বাড়লেও অনেক প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত শিক্ষকসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে না। ফলে কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের যা যা শেখার কথা তারা তা শিখছে না। এ কারণে একটি ইনস্টিটিউটকে তখনই ভর্তির অনুমতি দেয়া উচিত যখন সে পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষার্থীসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবে। সেই সঙ্গে নীতিমালা মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা কঠোর মনিটরিং করতে হবে। যেসব ইনস্টিটিউটে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, সুযোগ-সুবিধা নেই, প্রয়োজনে তাদের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।

Screenshot 2023 10 19 at 17 29 39 2023 07 04 05 12 f3a48cbd4d794c61767fda1c673e535b.pdf

সাইক ও ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজ’র ২ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাকার সাইক নার্সিং কলেজ ও বরিশালের ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া ও বরিশালের ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।৩ জুলাই নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপ সচিব মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষতির এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে।নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া এবং ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজ এর চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে সমকাল পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রশাসন-১ শাখার গত ২৮ মে ৫৯.00.0000.08.200১.২৩.১১৪ নং স্মারকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম আগামী ৫ জুলাই বুধবার বিকাল আড়াইটায় তদন্ত কমিটিরি আহবায়ক, যুগ্মসচিব, চিকিৎসা শিক্ষা অধিশাখার (কক্ষ নং-৩২৯, ভবন নং-০৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।’এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আৰু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া এবং ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলামকে উক্ত তদন্ত কার্যক্রমে নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে সাক্ষ্য প্রমাণসহ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য/ জবানবন্দি প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো  ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজ

বরিশাল সিঅ্যান্ডবি রোডে অবস্থিত ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের এমন চাপ প্রয়োগে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। স্বাভাবিক সুযোগ-সুবিধা না দেয়ায় শিক্ষার দিকে মনোযোগ না হয়ে তারা হতাশভাবে দিন যাপন করে। নিহত লামিয়ার মামা জাহাঙ্গীর আলম  জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা পাবে। টাকার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ অনেকবার পরিশোধ করার জন্য বলেন। এ জন্য লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যা করতে পারে এমনটা ছাড়া আর কোনো কারণ দেখছি না।কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের ওপর তাগিদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি গরিব শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। লামিয়া মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
কয়েক মাস আগে এই কলেজে রিয়া নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্দেশে গলায় ফাঁস দিলে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দেখে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে সময় অভিযোগ উঠেছে রিয়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজে প্রায়ই নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। গত কয়েক মাস আগেও এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে সহপাঠীদের সহযোগিতায় বেঁচে যায় ঐ ছাত্রী। মো: জহিরুল ইসলামের সাথে এক ছাত্রীর অশ্লীল ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়ে যায়। তখন সময় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়। বর্তমানে এই কলেজটি দেখাশোনা করেন পরিচালক মো: জহিরুল ইসলাম স্ত্রী মেহেরুন্নেছা।

এই মৃত্যুর ঘটনায় কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে  নার্সিং কলেজটি ছুটি ঘোষণা করা হয়।

চেক জালিয়াতির মামলায় ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যানের কারাদন্ড 

চেক জালিয়াতির মামলায় ডিডাব্লিউ এফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো: জহিরুল ইসলামকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গত ১২ জুলাই বরিশাল ৪র্থ যুগ্ম জজ এর বিচারক সালমা আক্তার তাকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জালিয়াতির ৫ লাখ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেন। আসামী জহিরুল ইসলাম রায় ঘোষনার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত মো: জহিরুল ইসলাম বরিশাল নগরের ডিডাব্লিউ এফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান। তিনি বরগুনার আমতলী উপজেলার আংগুলকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও ব্যবসায়ীক সূত্রে বরিশাল নগরের সিএন্ডবি রোড এলাকায় বসবাস করেন। মামলা সূত্রে জানাযায়, নগরীর সাগরদি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ ও আসামী জহিরুল ইসলাম যৌথভাবে ডিডাব্লিউ এফ নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে আসামীর সাথে বাদীর মনোমলিন্য হলে আব্দুল্লাহ আল মওদুদ ওই ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত চায়। এসময় আসামী জহিরুল ২০২১ সালের ১৯ জুন মুলধনের মোট ১৫ লাখ টাকা তিনটি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবে বলে জানায়। তবে ভুক্তভোগী দুইটি চেকের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারলেও একটি চেক (এসএ৭১৬৫০৯৩) মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে বাকি ৫ লাখ টাকা উত্তোলণ করতে পারে নাই। আসামী পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রয়ারী তার নিজ নামে ডাচ বাংলা ব্যাকের হিসেবে প্রদান করলেও সেখান থেকে চেকটি ডিজঅর্নার হয়ে যায়। এরপর ভুক্তভোগী বেশ কয়েকবার আসামীকে আইনি নোটিশ প্রদান করলেও তিনি ওই আইনী নোটিশের কোন জবাব দেননি।

অবৈধ নার্সিং ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাতিলের দাবি

নীতিমালা অনুসরণ না করে যেসব বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দ্রুত বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। সংগঠেনর পক্ষ থেকে করা এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের লিগ্যাল এডভাইজার হোসাইন আহমেদ শিপন। হোসাইন আহমেদ শিপন বলেন, বেসরকারি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ৮০ শতাংশ নিজস্ব হাসপাতাল নেই ও কোনো হাসপাতালে সঙ্গে আইনগত চুক্তিভিত্তিক পার্টনারশিপ (অংশীদারত্ব) নাই। গুলোর অবকাঠামো (একাডেমিক ভবন, হোস্টেল), দক্ষ জনবল (শিক্ষক, অফিস স্টাফ), শিক্ষা উপকরণ, ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের হাসপাতালসহ নার্সিং শিক্ষার প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতিতে গলদ ব্যাপক। বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের কিছু কর্মকর্তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের ব্যক্তির নামে বেসরকারি নার্সিং কলেজের অনুমোদনের দিয়ে আসছে। ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে এখানকার একটি সিন্ডিকেট। এই কাউন্সিলের অধীনে সারাদেশে ৩৭২টি বেসরকারি নার্সিং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধন নিয়েছেন সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া ও ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম শুধু এই দুইজনের নামেই নিবন্ধন নেয়া রয়েছে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে আবু হাসনাত ৪৪টি ও জহিরের ১৫টি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত সময়ে নিবন্ধন বাতিল করা হোক।

নার্সিং শিক্ষায় সিন্ডিকেট কর্তৃত্বে দুই সর্দার

নীতিমালা ছাড়াই চলছে দু’জনের ৫৯টি নার্সিং কলেজ

নার্সিং শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল গঠন করা হয়। তবে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। কর্মকর্তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পছন্দের ব্যক্তির নামে বেসরকারি নার্সিং কলেজের অনুমোদনের ঘটনা অহরহই ঘটছে। ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে এখানকার একটি সিন্ডিকেট। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে সারাদেশে ৩৭২টি বেসরকারি নার্সিং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে অবৈধভাবে শতাধিক নার্সিং কলেজের নিবন্ধন নিয়েছেন এ সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া এবং ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম। শুধু এ দু’জনের নামেই নিবন্ধন নেওয়া রয়েছে ৫৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আবু হাসনাত ৪৪টি ও জহিরের ১৫টি।

নিজেদের প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামতো পরিচালনার জন্য নিজেরাই তৈরি করছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনের সভাপতি হাসনাত ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। তাঁদের প্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধন পেয়েছে ২০২০ থাকে ২০২২ সালের মধ্যে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ পরিদর্শন করছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিলুফার ইয়াসমিন।

যোগ্যতাসম্পন্ন নার্স তৈরির লক্ষ্যে ২০০৯ সালে বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং কোর্স চালু-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এ নীতিমালায় একটি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে ন্যূনতম ৩০ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি ভবন, প্রতিষ্ঠানের নামে ১০ লাখ টাকার এফডিআর, প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রিকৃত জমি ও একজন দক্ষ প্রিন্সিপাল প্রয়োজন। চারজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে থাকবেন একজন শিক্ষক। ব্যবহারিক শিক্ষায় আট শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। থাকবে প্রয়োজনীয় ল্যাব, লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম ও অডিও ভিজ্যুয়াল রুম। তবে এ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে, মিথ্যা তথ্য ও জাল সনদ দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধভাবে এসব নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে।

কোন বিভাগে কতটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাবে– এমন কিছু নীতমালায় না থাকায় ডিডব্লিউএফ নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান নিজ বিভাগ বরিশালে ১৫টি নার্সিং কলেজ গড়ে তুলেছেন। অন্য কোনো ব্যক্তি নার্সিং কলেজের অনুমোদন পাননি এ বিভাগে। এসব প্রতিষ্ঠানেও নানা অনিয়ম রয়েছে। একটি ভবন দেখিয়ে গড়ে চারটি করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। যখন যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান, তখন সাইনবোর্ড বদল করে সেই নামীয় প্রতিষ্ঠান দেখানো হয়। একসঙ্গে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ভবন, এফডিআর, জমির দলিল ও ১৫ জন প্রিন্সিপাল দেখতে চাইলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলামকে ফোন  করলেও ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউট অ্যান্ড কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাইক নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যানের নামেও ৪৪টি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। এমনকি নীতিমালা মেনে পরিচালিত হচ্ছে না। এমন অভিযোগের বিষয়ে আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া  বলেন, সরকারি নীতিমালা মেনে নিবন্ধন নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। সবকিছু ঠিক না থাকলে কাউন্সিল আমার প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন দিত না। একটি প্রতিষ্ঠানও নিয়মের বাইরে পরিচালিত হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের একাধিক কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে তৎকালীন রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম নিজের দুর্নীতির সহায়ক হিসেবে নিলুফার ইয়াসমিনকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে নিয়োগের জন্য নার্সিং প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হলেও তাঁর এ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছিল না। বেসরকারি একটি ডে কেয়ার পরিচালনা অভিজ্ঞতা দেখিয়ে এ পদে এসেছেন তিনি। এমনকি নিজ মালিকানায় বেশ কয়েকটি নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করে আসছেন।

রাজধানীর আদাবর এলাকায় নিলুফার ইয়াসমিনের প্রতিষ্ঠান নাইটেঙ্গেল নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, একই বিল্ডিংয়ে বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি ২ হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে নিলুফার ইয়াসমিন  বলেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে আসার আগেই নার্সিং কলেজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। অবৈধ প্রতিষ্ঠান অনুমোদনের বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, একার পক্ষে এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়। সচিব, উপসচিবসহ একটি টিম পরিদর্শনে যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে অনুমোদন দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম অবসরে যাওয়ার পর রাশিদা আখতারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা রয়েছে নীতিমালাবহির্ভূত কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন না দেওয়া। আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে সব প্রকার অনিময় রুখতে নীতিমালা আপডেট করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

* দেশ  বিদেশের  সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ ডেস্ক :

About Author

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *