মাদারীপুরে ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ


মাদারীপুর সংবাদদাতা :
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার একটি হাটে ভূক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ওই ভূমি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এদিকে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন যোগদানের পর থেকে সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে নামজারি, দাখিলাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।ভূক্তভোগী সাহাদাত, বাবুল ও টিটুসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, নামজারির জন্য আমরা প্রায় ছয়মাস আগে মোটা অংকের টাকা দিয়েছি ফারুক তহশিলদারকে। কিন্তু সে আমাদের কাজও করে দিচ্ছে না এবং টাকা ফেরতও দিচ্ছে না। তাই এলাকার প্রায় অর্ধশত ভূক্তভোগী তার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য অবরুদ্ধ করে রাখি। সে সরকারের কোনো নিয়মনীতি তোয়াক্কা করে না। সে কিছু দালাল পালে যারা তারা অফিসের সামনে বসে থাকে। তার কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে পালিত দালালরা হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা তার বিচার দাবি করি।অভিযুক্ত তহশিলদার বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাদের সবার কাজ করে দিবো।গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, এলাকার প্রায় অর্ধশত ভূক্তভোগী তার কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন, গোপালপুর ইউনিয়নের তহশিলদার ফারুকের বিরুদ্ধে কয়েকবার অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি জেলা কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, তহশিলদারের বিষয়টি নোট করা হয়েছে।