বেথেলপাড়া ও এডেনপাড়া কুকি-চিনের শক্তিশালী ঘাঁটি


অনলাইন ডেস্ক: সোনালী ব্যাংকে হামলার পাশাপাশি ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করার ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম বেথেলপাড়া ও এডেনপাড়া।এ দুটি গ্রাম বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। ফুলে ফুলে শোভিত এই দুটি পাহাড়ি গ্রাম কীভাবে যে সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা হয়ে উঠল তা স্থানীয়রাও বুঝতে পারছেন না। এ নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারাও বিব্রত। বেথেলপাড়া গ্রাম ঘোরার সময় হঠাৎ করেই ভেসে এলো গিটারের শব্দের সঙ্গে এক কিশোরের গান। রাজধানী ঢাকার বিখ্যাত নটেরডেম কলেজের এই শিক্ষার্থী বৈসাবি এবং ঈদের ছুটিতে এসে প্রিয় গিটার নিয়ে গান করছে। ছবির মতো সুন্দর বেথেলপাড়া নামে এই গ্রামেই কুকি-চিনের সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছে বলে অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।মঙ্গলবার রুমা এবং বুধবার থানচিতে কুকি-চিনের তাণ্ডবলীলার পর পুরো গ্রামে এখন আর মানুষের কোনো বিচরণ নেই বললেই চলে। মূল সড়ক এড়িয়ে দীর্ঘ পাহাড়ি পথ। নির্ধারিত কোনো রাস্তা না থাকায় গ্রামবাসীর হাঁটায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন পথের। এরপর আবার ছোট্ট একটা ঝিরি। শুস্ক মৌসুম হওয়ায় ঝিরিতে তেমন পানিও নেই। ঝিরি পাড় হলেই আবার সুউচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের নানা অংশে ছোট ছোট পাহাড়ি ঘর। প্রতিটি ঘরের সামনেই ফুলের গাছে ফুটে আছে নানা রঙের ফুল।মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকে তাণ্ডব এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে জিম্মি করার ঘটনায় অভিযুক্ত এ বেথেল গ্রাম। এ গ্রাম থেকেই কুকি-চিনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে এসেছিল। পুনরায় ফিরে গেছে এ গ্রাম দিয়েই। এমনকি ৪৬ ঘণ্টা অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে এখানে আটকে রাখার অভিযোগও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। এসব সমালোচনার মুখে স্থানীয়রাও বিব্রত।বেথেলপাড়ার এক নারী বলেন, ‘আগে এ পাড়ায় শান্তি ছিল। এখন অশান্তি বিরাজ করছে। আমরা চাই আগের মতো আবার শান্তি ফিরে আসুক।