ইত্তেহাদ এক্সক্লুসিভ

৫০ যাত্রী নিয়ে রুশ বিমান বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ,ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

russia 6881f3cb63e69
print news

অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে নিখোঁজ হওয়া একটি উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছে দেশটির উদ্ধারকারী দল।উড়োজাহাজটি গন্তব্যের মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয় বলে জানা গেছে।অ্যাঙ্গারা এয়ারলাইন্সের আন্তোনভ-২৪ মডেলের উড়োজাহাজটি ৪৩ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রুসহ ব্লাগোভেশচেনস্ক শহর থেকে ছেড়ে আসে। এটি চীনা সীমান্তের কাছাকাছি একটি শহর।এই উড়োজাহাজ টাইন্ডা বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই এটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি অরলোভ জানান, নিখোঁজ উড়োজাহাজের সন্ধানে সর্বোচ্চ পরিমাণ উদ্ধার-সরঞ্জাম ও লোকবল মোতায়েন করা হয়েছিল।

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানটিতে থাকা ৫০ জনই নিহত হয়েছেন।দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাশিয়ার আঙ্গারা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানটি সুদূর পূর্বাঞ্চলীয় আমুর অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ৫০ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাইবেরিয়া-ভিত্তিক আঙ্গারা নামক একটি বিমান সংস্থা দ্বারা পরিচালিত বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টিন্ডা শহরের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময় রাডার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

আঞ্চলিক গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে বিমানটিতে পাঁচ শিশুসহ ৪৩ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন।টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি লেখেন, বিমানটি অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে জরুরি মন্ত্রণালয় বিমানে থাকা লোকের সংখ্যা কিছুটা কম, প্রায় ৪০ জন বলে জানিয়েছে।

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রায় অর্ধশত আরোহী নিয়ে একটি আঞ্চলিক যাত্রীবাহী বিমান নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর। এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ বিমানের আরোহীদের ভাগ্য সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ঘটনার পরপরই ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় শাখা জানিয়েছে, বিমানটি ছিল একটি এন্টোনোভ এন-২৪ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান, যা সাইবেরিয়া ভিত্তিক ‘আঙ্গারা’ এয়ারলাইন পরিচালনা করছিল। বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের টাইন্ডা শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় এটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

আমুর অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি অরলভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বার্তায় জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী বিমানটিতে ৪৩ যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে। এছাড়া বিমানটিতে ছয় ক্রু সদস্য ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি লেখেন, ‌‘বিমানটি খুঁজে পেতে জরুরি প্রয়োজনীয় সব রকমের বাহিনী ও সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।’

তবে রাশিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের হিসেবে বিমানে আরোহীর সংখ্যা কিছুটা কম হতে পারে, প্রায় ৪০ জনের মতো।

আপাতত বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ বা অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। খারাপ আবহাওয়া এবং দুর্গম ভূখণ্ড অনুসন্ধান কাজকে ব্যাহত করছে। আমুর অঞ্চলের পার্বত্য ও বনভূমি অধ্যুষিত এলাকাটি যোগাযোগ ও উদ্ধার অভিযানের জন্য বরাবরই চ্যালেঞ্জিং বলে পরিচিত।

এন-২৪ মডেলের বিমানগুলো রাশিয়ায় আঞ্চলিক ফ্লাইটের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে বেশ পুরনো এই মডেলটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এর আগে অতীতেও রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এন-২৪ বিমান দুর্ঘটনার খবর শোনা গেছে।

উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকায় জরুরি শিবির স্থাপন করেছে এবং অনুসন্ধান কাজ দ্রুততর করতে সামরিক বাহিনীর সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এবং বিমানের শেষ যোগাযোগ ও ফ্লাইটপথ বিশ্লেষণ করছে।

সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ও লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায় ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.