image 732575 1698211986

বেতাগীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল

print news

ইবরাহীম সোহেল, বরগুনা : বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওই ঘুস বাণিজ্যের একটি ভিডিও (৬ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড) ভিডিওতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ঘুসের টাকা গণনা করতে দেখা যায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিষ্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে। তিনি (কৃষ্ণ) ঘুস লেনদেনের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করলেও এমন কোনো বিষয় ঘটেনি বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। এদিকে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ভিডিও থেকে জানা যায়, পথ্য ও স্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে ঢোকেন। পরে তাদের দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়। একপর্যায়ে বেতাগী হাসপাতালে কর্মরত (ফার্মাসিস্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে তার অফিসে ডেকে মামুন খানের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার বান্ডিলটি গুনে তার কাছে রাখতে নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে কৃষ্ণ তার অফিস কক্ষে গিয়ে টাকাভর্তি খামটি খোলেন এবং টাকা গণনা করে রেখে দেন। কৃষ্ণ কুমার পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওইদিন আমি অফিসে কাজ করছিলাম। স্যার (ফাহমিদা লস্কর) আমাকে তার অফিস কক্ষে ডাকেন এবং মামুনের কাছ থেকে টাকাগুলো গুনে রাখতে বলেন এবং আমি গুনে রাখি। মামুন যাওয়ার পর, স্যার ওই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। যেখানে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিলে মোট ৫০ হাজার টাকা ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন, ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন না। আমি এ নিয়ে তাদেরকে ডেকে মিটিং করে হুঁশিয়ারি দিয়েছি। আমি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ছেছরামি করে টাকা নিব না। আমি পরিষ্কার, আমি ক্লিন। আর টাকা নিয়ে থাকলেও সেটি জরিমানা হতে পারে। বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুস গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বরিশাল স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এ ধরনের অর্থ বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো কর্মকর্তা করে থাকে তবে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অত্যাচার ও দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ নার্সরা

 বেতাগী  উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর নিজের ইচ্ছেমতো নার্সদের  রোস্টার করতে চান। এখানের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর  তিনি হাসপাতালের নার্সদের ঠিকমতো সি এল দেন না। ১০ তারিখের আগে কেউ বেতন পাননা এই হাসপাতালের কেউ। নার্সদের বেতন-বিল ফরোয়ার্ডিং করতে সবসময়ই বিলম্ব করেন ফাহমিদা লস্কর।নার্সদের অভিযোগ, সবারই পরিবার আছে, সংসার এবং সন্তান আছে। তিনি কারও কোনো সমস্যা শুনেন না , নিজের মতো সব চালায়। সে প্রতি মাসে ছুটি ছাড়া  বাড়ি থেকে ঘুরে আসে। অন্যদের বেলায় কোন ছুটি নাই।এমার্জেন্সি কারো ছুটি লাগলে বহুত ব্যাখ্যা দিয়ে ছুটি নিতে হয়। নার্সদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, বিকেল ডিউটি এবং নাইট ডিউটিতেও সকালে এসে ফিঙ্গার দিয়ে যেতে হবে তার কথায়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব স্টাফদের সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করে এমন কি নার্সদের অপদার্থ বলে গালি দেয়।নার্সদের অভিযোগ, যদি তাকে বলা হয় এরকম ডিউটি রোস্টার হলে কিভাবে হয় সবারইতো পরিবার আছে। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন নার্সিং পড়তে  কে বলেছে?  সরকার কি ডেকে এনে আপনাকে চাকরি দিছে?আরো অনেক কিছুই বলে সে। সে যা বলে চুপচাপ শুনতে হয় কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করা যায় না। মুখ খুললেই বলে কাগজ-কলমে সে শাস্তি দিয়ে দিবে। এই ভয়ে কেউ কিছু বলেও না।
সচেতন নার্সদের দাবী, অতিদ্রুত বেতাগী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্করের অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার তদন্ত করা হোক। নিশ্চিত করা হোক ভূক্তভোগী নার্সদের কর্মক্ষেত্রের সুন্দর পরিবেশ।

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....

Check Also

jhalokathi01 20240129163550

উদ্বোধন হলেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যার ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : তিন মাস আগে জমকালো আয়োজনে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল চত্বরে ৭০ কোটি টাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *