চাকরিও কেড়ে নেবে AI! হুঁশিয়ারি দিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘জনক’!


ইত্তেহাদ নিউজ,অনলাইন : আপনি কি চাকরি করেন নাকি ব্যবসা? আগামীতে আপনার চাকরি থাকে কি না সেটাও দেখার। ওপেন এআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের এক মন্তব্যে এবার আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে। একটি টিভি শো-তে তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI প্রথম কোপ বসাবে কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরের চাকরিতে। তাঁর মতে, ফোনে বা কম্পিউটারে যে সাপোর্ট দেওয়া হয়, সেই কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও ভালভাবে করতে পারবে।
তাহলে ঝুঁকির মুখে রয়েছে কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা? অল্টম্যানের তালিকা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। কাস্টমার কেয়ারের পর তিনি বলছেন চাকরি চলে যাবে প্রোগ্রামারদের। তিনি বলছেন, ঐতিহাসিকভাবে প্রতি ৭৫ বছরে গড়ে ৫০ শতাংশ চাকরির ধরণ বদলে যায়। কিন্তু এবার এই পরিবর্তন আসবে অনেক দ্রুত, প্রায় ঝড়ের গতিতে। আর তাঁর এই বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণ করছে একাধিক সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই।
এই খবরের প্রভাব এই বাংলা তথা কলকাতায় কতটা? সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও নিউ টাউনের আইটি ও বিপিও হাবগুলিতে কর্মরত লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীদের জন্য এটি একটি বড় চিন্তার কারণ। এই সেক্টরগুলি রাজ্যের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অল্টম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হলে, বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে এই বাংলার কর্মসংস্থানেও।
তবে সব বিশেষজ্ঞ একমত নন। আমেরিকান গবেষণা এবং পরামর্শদাতা সংস্থা Gartner-এর পূর্বাভাস বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে। অল্টম্যান নিজেও স্বীকার করেছেন, নার্সিং-এর মতো মানবিক সংযোগ-নির্ভর পেশা সুরক্ষিত থাকবে। সেই জায়গা কখনই নিতে পারবে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এতকিছুর পরেও, অল্টম্যানের নিজেরই রাতের ঘুম উড়েছে। তাঁর কথায়, ‘আমি রাতে ভালো ঘুমাতে পারি না’। কারণ কোটি কোটি মানুষের ব্যবহৃত এই প্রযুক্তির নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে তাঁরই কাঁধে। ছোট একটি ভুল সিদ্ধান্তের প্রভাব এই জায়গায় হতে পারে সুদূরপ্রসারী। বাংলার তরুণ প্রজন্মের জন্য তাই এখন থেকেই নতুন দক্ষতা অর্জন এবং পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হওয়াই একমাত্র পথ।