বাংলাদেশ ঢাকা

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের সূত্রপাত ইলেকট্রিক কেটলির শর্ট সার্কিট

1712494937.Titu 1
print news

ঢাকা প্রতিনিধি :  রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের নিচতলায় ‘চা চুমুক’ নামে একটি কফি শপে ইলেকট্রিক কেটলির শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই আগুন মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে লিকেজ থেকে ভবনে জমে থাকা গ্যাসের কারণে।যেকোনো মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে থাক, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদওই অগ্নিকাণ্ড তদন্তের পর ফায়ার সার্ভিসের গঠিত কমিটি তাদের রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। নির্ধারিত সময়েই তদন্ত শেষ করে কমিটি নিজেদের অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়।ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনের নিচ তলায় থাকা চা চুমুক কফি শপের ইলেকট্রিক কেটলির শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এর তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে ভবনে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ভবনে লিকেজের গ্যাস জমে থাকার কারণে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী রোববার (৭ এপ্রিল)  বলেন, তদন্তে পাওয়া যায়, হোটেলে যেখানে বসে মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো, সেখানেও রাখা ছিল সিলিন্ডার। ভবনের একটিমাত্র সিঁড়ি, সেটাও স্টোর রুম বানিয়ে রাখা হয়েছিল। সেখানে সিলিন্ডারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভর্তি ছিল। এছাড়া ভবনের রুফটপ ছিল না উন্মুক্ত। মসজিদের পাশাপাশি অফিসসহ আরও কিছু মালামাল ছিল সেখানে।

তদন্তে উঠে আসে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যে ধরনের নকশার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটা পুরোটাই পাল্টে ওই ভবন নির্মাণ করেন মালিকরা। ২০০৩ এর আইন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অগ্নিনিরাপত্তার কোনো ট্রেনিংই তারা নেননি। তদন্তে দেখা গেছে, যতগুলো অনিয়ম করা যায় সবগুলো অনিয়ম ওই ভবনে ছিল। ভবনে ভেন্টিলেশন পর্যন্ত ছিল না।গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের ওই আটতলা ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ভবনের নিচতলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অনেক রেস্তোরাঁ, কফি শপসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল।তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ধরনের ভবনে কমপক্ষে ৫০ হাজার গ্যালন পানি ধারণক্ষমতার ওয়াটার রিজার্ভার না থাকলে আমরা ছাড়পত্র দিই না। কিন্তু সেখানে পানির ক্যাপাসিটি ১০ হাজার গ্যালন। পানি ছিল আরও কম।এ ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ২০০৩ এবং রাজউক থেকে অনুমোদন করা নকশা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

 

* সর্বশেষ  গুরুত্বপূর্ণ  সব  সংবাদ, ছবি ,অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক  দিয়ে  অ্যাকটিভ  থাকুন।  ভিজিট করুন : http://www.etihad.news

* অনলাইন  নিউজ পোর্টাল  ইত্তেহাদ নিউজে  লিখতে  পারেন  আপনিও। লেখার বিষয়  ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন  [email protected] ঠিকানায়

সংবাদটি শেয়ার করুন....
ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

ইত্তেহাদ নিউজ ডেস্ক :

About Author

etihad news is one of the famous Bangla news portals published from Abudhabi-UAE. It has begun with a commitment to fearless, investigative, informative, and independent journalism. This online portal has started to provide real-time news updates with maximum use of Smart Technology.

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *